বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের ছত্রছায়ায় একদল সন্ত্রাসী নৌযান শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। এতে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী আলম মাস্টার, মোশাররফ মাস্টার, ফারুক ড্রাইভারসহ অনেকে আহত হন।
“সন্ত্রাসীদের বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সকল পণ্যবাহী, তৈলবাহী ও ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকরা অবিরাম কর্মবিরতি পালন করবে।”
যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে যাত্রী পরিবহন কর্ম বিরতির আওতামুক্ত রাখা হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম।
১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র এবং সার্ভিস বুক দেওয়া; কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী প্রত্যেক নৌ শ্রমিক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া।
এছাড়া নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাধ্যতামূলক গ্রুপবীমা কন্ট্রিবিউটরি ফান্ড চালু এবং ফিশিং ট্রলার ও নৌযান শ্রমিকদের জন্য আলাদাভাবে কল্যাণ তহবিল গঠন করার দাবি জানানো হয়।