রোগ নির্ণয়ে ত্রুটির অভিযোগে পপুলারের বিরুদ্ধে মামলা

রোগ নির্ণয়ে ত্রুটির অভিযোগে ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক রোগীর স্বজন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2018, 06:36 PM
Updated : 25 Sept 2018, 06:36 PM

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সরদার জাকির হোসেন।

বিচারক মুহাম্মদ ফাহদ বিন আমিন চৌধুরী অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে আগামী ১১ ডিসেম্বর।

মামলায় আসামি করা হয়েছে পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়গনস্টিকের চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পপুলার ডায়গনস্টিকের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. জামসেদ হায়দার সিদ্দিককে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাদীর মা ফরিদা বেগমের (৮০) ‘ব্যাক পেইন’ হওয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফ্ফর আহম্মেদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে কিছু পরীক্ষা করতে ১১ জুন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। পরীক্ষা করিয়ে ওই দিনই প্রতিবেদন পান বাদী। পরদিন তিনি মাকে নিয়ে চিকিৎসক মোজাফ্ফর আহমেদের চেম্বারে যান।

মামলায় বলা হয়, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক জানান যে বাদীর মায়ের ‘বোন টিবি’ হয়েছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসক রোগীকে রিমস্টার নামের ট্যাবলেট প্রতিদিন খালি পেটে চারটি করে খেতে দেন।

ওই ওষুধ খেয়ে রোগীর প্রাণ সঙ্কট হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, ওই ট্যাবলেট খাওয়ার পর গত ১৬ জুন ভোরে ফরিদা  বেগম অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সন্দেহ করে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন যে তা হয়নি।

কিন্তু পরে ওই ট্যাবলেট খাওয়ার পর আবারও একই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে মোজাফ্ফর আহমদের অধীনে ফরিদাকে ২৬ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

এরপর ওই চিকিৎসক আনোয়ারা মেডিকেল সার্ভিসেস থেকে একই পরীক্ষা আবার করাতে বলেন।

এদিকে ফরিদার অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়।

জাকির বলেন, ২ জুলাই আনোয়ারা মেডিকেল সার্ভিসেস লি.-এ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক দেখেন এবং তারাও আবার রক্ত, প্রস্রাব, ইসিজি, হরমোন, টিবি, বোন ম্যারোসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করেন।

“কিন্তু কোনো পরীক্ষার রিপোর্টই তার যক্ষ্মার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডায়াগনসিসের উপর ভিত্তি করে প্রফেসর সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমেদ যক্ষ্মার ওষুধ দিয়েছিলেন।”

জাকির বলেন, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষার কারণে তার মা শয্যাশায়ী হয়েছেন।