উনারা কি কেবল জামিনের জন্য আসেন, প্রশ্ন বিচারকের

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সকালের ভাগে শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও দুপুরের পর তাকে না পেয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারক। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2018, 12:32 PM
Updated : 26 Sept 2018, 10:04 AM

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, “জামিন দিলাম আর চলে গেলেন? উনারা কি কেবল জামিনের জন্য আসেন?”

যুক্তিতর্কের পর্যায়ে থাকা জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার  বিচারকের এমন মন্তব্য আসে। 

এদিন বিচারকের প্রতি দুই আসামির অনাস্থা জানিয়ে করা বিচার মুলতবির আবেদনের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য থাকলেও শুনানি শেষে তা একদিন পেছানো হয়।

পাশাপাশি এ মামলার আসামি মনিরুল ইসলাম খানের জামিন বহাল থাকবে কি-না সে বিষয়েও বুধবার আদেশ দেবেন বিচারক।

এ বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাই কোর্টে যাওয়ার কথা বলে সোমবার দুটি আবেদন করেছিলেন আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামান।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর খালেদা জিয়ার জামিন ও তার চিকিৎসার বিষয়ে আইনজীবীদের দুটি আবেদন, আগের দিনের অনাস্থা আবেদন এবং মনিরুল ইসলাম খানের জামিন বহাল রাখার পিটিশনের বিষয়ে শুনানি হয়।

মামলার বাদী দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এবং মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে আইনজীবী আক্তারুজ্জামান শুনানিতে অংশ নেন।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিচারক খালেদার জামিন ও চিকিৎসার বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। আর অনাস্থার আবেদন এবং মনিরুলের জামিনের বিষয়ে পরদিন আদেশের জন্য ঠিক করে আদালতের কার্যক্রম আধা ঘণ্টার জন্য মুলতবি করেন।

৪০ মিনিট পর আদালত আবার বসলে দেখা যায়, খালেদার আইনজীবী মাসুদ আহমেদসহ কয়েকজন উপস্থিত নেই।

এ সময় খালেদার অন্যতম আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেসবাহ আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া একটি মামলায় নিজের জামিনের জন্য হাই কোর্টে থাকায় এ আদালতে আমতে পারেননি।

অন্য সিনিয়র আইনজীবী না থাকায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিকে না যেতে বিচারককে অনুরোধ করেন তিনি।

এরপর বিচারক আখতারুজ্জামান বলেন, “মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাহেবতো ছিলেন, উনাকেতো এখন দেখছি না। জামিন নিলেন আর চলে গেলেন? এটাতো ঠিক হল না।”

আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আইনজীবী আমিনুল ইসলামও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে মুন্নাকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার এবং তার সঙ্গে তিন স্বজনের সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে দুটি আবেদন আদালতে দেন আইনজীবী আক্তারুজ্জামান।

এ দুটি বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত্ আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করে এজলাস ছাড়েন বিচারক।