ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার ভোর থেকে বাস বন্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই বাস টার্মিনাল থেকে আবার গাড়ি ছাড়তে শুরু করেছে বলে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন।
ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ সদু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে এক বৈঠকের পর দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস পেলে তারা ধর্মঘট তুলে নেন।
“সোমবার রাতে আমাদের একজন বাস ড্রাইভারকে মারধর করার পর আমরা ভোর থেকে ধর্মঘট শুরু করেছিলাম। পুলিশ এসে কথা বলেছে আমাদের সাথে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, যারা বাস ড্রাইভারকে মেরেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর আমরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।”
ঢাকার ট্রাফিক (উত্তর) পুলিশের উপ কমিশনার প্রবীর কুমার রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাস চালককে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।”
ঢাকা-নেত্রকোণা রুটের একটি বাস সোমবার রাত ১১টার দিকে মহাখালী টার্মিনালের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে গেলে চালকের সঙ্গে স্থানীয় যুবকদের বচসা হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই যুবকরা গাড়িতে উঠে চালক সাইফুলকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন শহিদুল্লাহ সদু।
তিনি বলেন, “মারধর করার পাশাপাশি ওই যুবকেরা গাড়ির ট্রিপের টাকাও নিয়ে চলে যায়।”
মহাখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, “টার্মিনালের আশপাশে একটি চক্র রয়েছে, যারা এভাবে বাসচালকদের ওপর হামলা করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”