তিনি বলেছেন, শান্তি এখনও অধরা, তাই সব পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলতে হবে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সোমবার নেলসন ম্যান্ডেলা শান্তি সম্মেলনে একথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা বাড়াতে হবে, সহনশীলতাকে উৎসাহিত করতে হবে। বৈষম্য ও শোষণ থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে।”
সন্ত্রাসবাদের মতো বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় সন্ত্রাসীদের অর্থ ও অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধের জন্য বিশ্বনেতাদের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানবাধিকার উন্নয়নে ও সুরক্ষার জন্য শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতির চর্চা করুন।
“তবুও শান্তি এখনও অধরা, দ্বন্দ্ব সমাধান থেকে অনেক দূরে। মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা: যার জন্য ম্যান্ডেলা মতো নেতারা লড়াই করেছিলেন, তা এখনও সুরক্ষিত নয়। বিশ্বের অনেক অংশে মানুষ ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে।
“বর্ণবাদ এবং অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক সমাজের মানুষ বৈষম্য, জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি, অত্যাচার, এমনকি জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে গণহত্যার শিকার হচ্ছে।”
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিগত নির্মূলের শিকার হওয়া ১১ লাখ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিসা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে জীবন রক্ষা করছে।
“আমরা দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ, মানবাধিকার উন্নয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করি।”
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সফল বাস্তবায়নের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেলসন ম্যান্ডেলার মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আমাদেরকে নিপীড়ন থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন।”