মাসুমা মুফতি নামে ওই বিমানবালাকে ‘গ্রাউন্ডেড’ করার পাশাপাশি এ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় ফ্লাইট সার্ভিসের ডিজিএম (ভারপ্রাপ্ত) নুরুজ্জামান রঞ্জুকেও ‘গ্রাউন্ডেড’ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ এখবর নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।”
কেউ মাদক কিংবা অননুমোদিত ওষুধ গ্রহণ করছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে ‘ডোপ টেস্ট’ করা হয়। পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ পেলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওই ধরনের কিছু গ্রহণ করেছেন।
বিমানে প্রায় দুই দশক ধরে কর্মরত একজন ক্রু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইওএসএ (আইএটিএ অপারেশাল সেফটি অডিট) নিয়ম মেনে প্রায় তিন বছর আগে বিমানে এই ডোপ টেস্ট চালু হয়।
“কোনো কেবিন ক্রু বা ককপিট ক্রু কোনো ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত কি না, ফ্লাইটের আগে সেটা নিশ্চিত করতে এই পরীক্ষা করা হয়।”
মাসুমার মতো আরও কোনো কোনো ক্রুর মাদক সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে দাবি করে তিনি বলেন, “কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।”