শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুরান ঢাকার হোসাইনি দালানের ইমামবাড়া থেকে আশুরার প্রধান তাজিয়া মিছিল শুরু হয়।
এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, লালবাগ, পল্টন এবং মগবাজার এলাকা থেকেও তাজিয়া মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
কেন্দ্রীয় তাজিয়া মিছিল ইমামবাড়া থেকে বকশীবাজার-নিউমার্কেট হয়ে ধানমণ্ডি লেকের প্রতীকী ‘কারবালা’ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
বুক চাপড়ে ও ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে ফোরাত তীরের কারাবালার ঘটনাকে স্মরণ করেন তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
মুসলিম বিশ্বে এই দিনটি ত্যাগ ও শোকের প্রতীক। বাংলাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশেষ করে শিয়া মুসলমানরা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
এবার ১২ সেপ্টেম্বর মহররম মাস গণনা শুরু হওয়ায় শুক্রবার সারা দেশে আশুরা পালিত হচ্ছে। আশুরার সরকারি ছুটি এবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলে গেছে।
বিগত দিনে তাজিয়া মিছিলে ছুরি, ধারালো অস্ত্রসহ যুবকদের দেখা যেত। ইমাম হোসেনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মরণে তারা নিজের শরীরে আঘাত করে নিজেকে রক্তাক্ত করতেন।
কিন্তু ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির মধ্যে ইমামবাড়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে আশুরায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়ানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করে।
তাজিয়া মিছিলে অনেকের হাতেই দেখা যায় জরি লাগানো লাল আর সবুজ নিশান, মাথায় শোকের কালো কাপড়। কারবালার স্মরণে কালো চাঁদোয়ার নিচে কয়েকজন বহন করেন ইমাম হোসেনের প্রতীকী কফিন।
মিছিলের সামনে ছিল ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের দুটি প্রতীকী ঘোড়া, দ্বিতীয় ঘোড়ার জিন রক্তের লালে রাঙানো।
ধানমণ্ডির প্রতীকী কারবালা প্রান্তরে পৌঁছনোর আগেই বৃষ্টি নামে। তার মধ্যেই শান্তির আশায় মোনাজাত করে তাজিয়া মিছিলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
আরও খবর