‘ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্র ইউনিয়নে যেতে চাওয়ায়’ ঢাবি ছাত্রকে মারধর

ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই হলের ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2018, 07:26 PM
Updated : 20 Sept 2018, 07:28 PM

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের ৫০০৫ নম্বর কক্ষে মারধরের শিকার এই শিক্ষার্থী হলেন দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনিন্দ্য মন্ডল।

তার সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজীব কুমার দাসও হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার অনিন্দ্যের সাথে 'অপ্রীতিকর ঘটনা' ঘটেছে বলে স্বীকার করলেও রাজীবকে মারধরের বিষয়ে ‘জানেন না’ বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমি শুনেছি ছাত্রলীগ থেকে ছাত্র ইউনিয়নে এক ছাত্র যোগ দিতে চাওয়ায়, ঠিক মারধর না, একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। শোনার সাথে সাথেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। এধরনের ঘটনা আমাদের কাম্য না। কেউ দোষী থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”

ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব সাংবাদিকদের বলেন, “অনিন্দ্য ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে পরশু একটা মিছিলে গিয়েছিল। একারণে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার রুমে গিয়ে ওর ট্রাংক, বইপত্র ও সার্টিফিকেট অক্টোবর ভবন থেকে সন্তোষ চন্দ্র ভবনের একটা রুমে নিয়ে আসে। আমিসহ অনিন্দ্য সেগুলো আনতে গেলে ছাত্রলীগের সেকেন্ড ইয়ার ও ফার্স্ট ইয়ারের ছেলেরা আমাদের মারধর শুরু করে।”

অনিন্দ্য সাংবাদিকদের বলেন, “আমার রুমে দুইদিন আগে এসে ওরা আমার সব জিনিসপত্র নতুন ভবনের ৫০০৫ নম্বর রুমে নিয়ে যায়। আমি আজকে ওগুলো আনতে রাজীবদাসহ যাই। তখন ওরা আমাদের রুমের ভেতর ধাক্কা দিয়ে ঢুকিয়ে লাইট অফ করে দেয়৷ আমাকে তো করেই, তাকেও মারধর করে।”

অনিন্দ্য মারধরের জন্য গণিত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনুপম বৈরাগী, ক্রিমিনোলজির প্রথম বর্ষের চিন্ময় বর্মণ ও কিষাণ চন্দ্রসহ ১২-১৫ জনকে দায়ী করেন।

এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, “যেহেতু মারধর করেছে, তাহলে তারা অবশ্যই অপরাধ করেছে। আমরা এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।”