বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল তুলে ধরতে গিয়ে এই পরামর্শ দেন তিনি।
জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন বলেন, “স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করছে আমাদের ছেলেমেয়েরা। এরা রাতে ঘুমায় না, জেগে জেগে ফেইসবুক দেখে। ফেইসবুকে আসক্ত হয়ে গেছে। এটা একটা সময় সীমার মধ্যে আনা গেলে ভালো হয়।
“১১টার পরে ফেইসবুক বন্ধ করতে পারলে পড়াশোনায় মন থাকবে। পৃথিবীর অনেক দেশেই ফেইসবুক নেই। চায়নায় নেই, সৌদি আরবে নেই।”
তিনি বলেন, “শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়া আর কোকেন তুলে দেওয়া একই। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাইলে ছেলেমেয়দের রক্ষা করতে হবে। উপায় খুঁজতে হবে।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার আহ্বানও জানান রওশন।
তিনি বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমরা জানি যে সংঘাতের মাধ্যমে কোনো কিছু আদায় করা যায় না। আলাপ-আলোচনা করে সমাধান খুঁজতে হবে। আন্দোলনের নামে যে ভাঙচুর হয়েছে সেটা আমরা পছন্দ করি না। ধিক্কার জানাই।
“কোটা সংস্কার করার জন্য যদি বসে আলোচনা করে সমাধান পাওয়া যায়, তা ভালো হয়। ছেলেরা খামোখা হয়রানির শিকার হচ্ছে।”
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়ে রওশন বলেন, “চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ বছর করা গেলে অনেক দিক থেকে ভালো হবে। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের মন আছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। আশা করব, সেইভাবে বিবেচনা করবেন।”
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করারও দাবি জানান জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারপার্সন রওশন।