বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২০ কোটি টাকা দিচ্ছে সংস্থাটি।
মিয়ানমারে নিপীড়িত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে ঠাঁই নিয়ে আছে। এই বিদেশিদের জন্য নানা কর্মসূচি নিতে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে।
শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে চুক্তিপত্রে সই করেন বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান ও ইআরডির জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী শফিকুল আযম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাংকের এই অর্থ রোহিঙ্গাদের জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় ব্যয় করা হবে। বিশেষ করে মাতৃস্বাস্থ্য, নবজাতক, শিশু ও কিশোর বাচ্চাদের পুষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্যই এই অতিরিক্ত অনুদান।
ইআরডি সচিব বলেন, “মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের এই অনুদানকে আমরা স্বাগত জানাই।”
চিমিয়াও ফান রোহিঙ্গা শিশুরা অপুষ্টির দিকটি তুলে ধরে বলেন, বাং লাদেশ সরকার পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবায় যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাতে অনুদানের এই অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা করবে।