আবহওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৫৮০ কিলেমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ওই সময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আশ্বিনের শুরুতে এমনিতে দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করলেও গত কয়েক দিন ধরে সারা দেশে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে হাঁসফাঁস আবস্থা চলছিল।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ভোলায় ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার মধ্যরাতের পর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মেলায় সেই দমবন্ধ পরিস্থিতির লাঘব হতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য স্থানে আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।