শরীয়তপুরে নদী ভাঙন ঠেকাতে হাজার কোটি টাকার কাজ

পদ্মার ভাঙন থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলাকে রক্ষায় ১ হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2018, 05:45 PM
Updated : 19 Sept 2018, 05:45 PM

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৮ দশমিক ৯০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ ৯ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, শূন্য দশমিক শূন্য ৮৯ কিলোমিটার ইন্ড টার্মিনেশন এবং ৮টি আরসিসি পাকা ঘাট নির্মাণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে খুলনা শিপয়ার্ড লিমিটেড।

নড়িয়ায় ভাঙন চলছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই, এবার বর্ষার পর পদ্মা হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর আগ্রাসী; গত দুই মাসে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার অন্তত দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা চলে গেছে নদীগর্ভে।

অব্যাহত ভাঙনে মানচিত্রের মুক্তারের চর, কেদারপুর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এখন অস্তিত্বহীন প্রায়। এসব এলাকার পাঁচ হাজারের মত পরিবার ভাঙনের কারণে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।

র‌্যাবের সদর দপ্তর নির্মাণ শুরু হচ্ছে

ঢাকার উত্তরার আশকোনায় রাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হেড কোয়ার্টার্স কমপ্লেক্স নির্মাণে ৪৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকার ক্রয়ের প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ৪৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কমপ্লেক্স নির্মাণ হবে। কাজটি পেয়েছে জিকেবিপিএল এন্ড এমএসসিএল লিমিটেড।

বৈঠকে রাজস্ব বোর্ড ভবন নির্মাণের একটি সংশোধিত প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।

নাসিমা বেগম জানান, এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। জয়েনভেঞ্জারে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জিকেবিপিএল এবং পায়েল কান্সট্রাকশন লিমিডেট।

বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘এক্সপানশন অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল’ শীর্ষক কাজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় এটি বাস্তবায়নে কাজ পেয়েছে জিকেবিপিএল এন্ড এমএসসিএল।

এছাড়া ৫৪৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া ও ডিএপি সার আমদানির সিদ্ধান্তও হয় বৈঠকে।

এর মধ্য ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সরবরাহের কাজ পেয়েছে মেসার্স প্রোটন ট্রেডার্স লিমিটেড। বাকি ২৫ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার জি টু জি  ভিত্তিতে আমাদানি করা হবে।