গত কয়েকদিন ধরেই তাপপ্রবাহে জনজীবনে হাঁসফাঁস চলছে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ভোলায় ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মাঈজদী, ফেনী, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা ও পটুয়াখালীর উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তবে তা প্রশমিত হয়ে আসবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্য স্থানে আংশিক মেঘলাসহ আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের দক্ষিণাংশে মোটামুটি সক্রিয় ও অন্যত্র দুর্বল অবস্থায় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
সাগরে লঘুচাপের কারণে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
“এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।”
তিনি জানান, এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।