মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে এইচ এম এরশাদের নেতৃতত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ আবদার জানান বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে রুহুল আমিন হাওলাদারকে মঙ্গলবার হাজির হতে দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ ১৩ সেপ্টেম্বর নোটিস পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু দুদকে হাজির না হয়ে মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব দুদকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি কার্যক্রম হিসেবে আমাকে কর্মী সংগ্রহ, প্রার্থী বাছাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কাজে অত্যান্ত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। সংসদ অধিবেশনেও প্রতিদিন অংশ নিতে হচ্ছে।
“অন্যদিকে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছি।”
‘স্বাস্থ্য ঝুঁকি’ ও ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা’ বিবেচনা করে ‘ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ’ থেকে চিঠিতে অব্যাহতি চেয়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার।
এবিষয়ে প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিঠিতে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করবেন।”
রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি আমলা ও আদালতে উৎকোচ প্রদান এবং সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজউকের একাধিক প্লটের মালিকও হাওলাদার হয়েছেন বলে দুদকে অভিযোগ এসেছে।
দুদক কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পার্টি সরকারের অংশীদার হওয়ার সুযোগ নিয়ে হাওলাদার বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলেও অভিযোগ পেয়েছেন তারা।