জামিনের জন্য ফের হাই কোর্টে শহিদুল

আবারও জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2018, 09:00 AM
Updated : 18 Sept 2018, 09:00 AM

হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মঙ্গলবার এ জামিন আবেদনটি দায়ের করেন তার আইনজীবীরা।    

বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো সাইফুর রহমানের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শহিদুল আলম শারীরিকভাবে অসুস্থ, জামিন পেলে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন না। বিচার মোকাবেলা করবেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় পড়ে না এবং সরকার তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে; এসব বিষয় ও কারণ উল্লেখ করে তার জামিন আবেদনটি করা হয়েছে।”

গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত আইসিটি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর মঙ্গলবার হাই কোর্টে ফের জামিন আবেদন করা হয়। 

এর আগে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৪ সেপ্টেম্বর এ জামিন আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করলে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

পরে গত ১০ সেপ্টেম্বর এই বেঞ্চ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শহিদুল আলমের জামিন আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দেয়, যা পরে নাকচ করে দেয় ওই আদালত।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৫ অগাস্ট রাতে পুলিশ দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে।

পরে ‘উসকানিমূলক ও মিথ্যা’ অপপ্রচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা করে পুলিশ।

ঢাকার হাকিম আদালত শহিদুলের জামিন আবেদন নাকচ করে দিলে তার আইনজীবীরা ১৪ অগাস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতে যান।

বিচারক আবেদনটি ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য রাখলে তারা শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আরেকটি আবেদন করেন।

কিন্তু বিচারক তা গ্রহণ না করলে ২৬ অগাস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ওই আদালতেই ফের আবেদন করা হয়।

আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ না করায় গত ২৮ অগাস্ট শহিদুলের জামিন আবেদন নিয়ে তার আইনজীবীরা হাই কোর্টে আসেন।

কয়েক দিন আটকে থাকার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চের কার্য তালিকায় আসে।