বিস্ফোরক মামলায় আসামি খন্দকার মাহবুব

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনকে, যাতে বিস্ফোরক ব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2018, 01:20 PM
Updated : 13 Sept 2018, 01:20 PM

পুলিশের করা এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবের সঙ্গে অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান ছাড়াও বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।   

এই মামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’।

দুদিন আগে ঢাকার রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মিছিল করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, পুলিশের কাজে বাধা ও সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের উপর আক্রমনের ঘটনা কথা উল্লেখ করে পল্টন থানার এসআই মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার মামলাটি করেন।

দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৯, ১৮৬, ৩৫৬, ৩০৭, ৩৩২, ১০৯, ১১৪, ৩৪ ধারার পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ মামলা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন পল্টন থানার ওসি মাহমুদ হোসেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ৮টা আসামিরাসহ ২০ দলীয় জোটের অনেক নেতাকর্মী বায়তুল মোকারম মসজিদের উত্তর পাশের রাস্তায় ‘ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে’।

“তারা প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়ে হঠাৎ মিছিল বের করে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। রাত সাড়ে ৮টার পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে তারা অবস্থান নেয়। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অনুরোধ করলে তারা পুলিশের উপর আক্রমণ করে এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

“এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ করে পরপর কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। আসামিদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে এসআই মো. আব্দুল জলিলসেহ কয়েকজন পুলিশ আহত হন।”

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোল বোমা, ছয়টি হাতবোমাসহ নানা বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে মামলায় দাবি করা হয়।

এই মামলার প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য এ কে এম এহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আইনজীবীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে বিএনপি চেয়ারপারসসনের মামলা থেকে বিরত রাখার অপচেষ্টায় সরকার লিপ্ত হয়েছে। আমরা এসব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার বিষয়ে দ্রুত উচ্চ আদালতে যাব।”

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আপনারা (সরকার) গোরস্থান থেকে লাশকে দিয়ে ককটেল ফাটাচ্ছেন, আপনারা হজব্রত পালনরত  ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই সময়ে বাংলাদেশে নাশকতার মামলা দিচ্ছেন। আপনারা কী বিকৃত মনের অধিকারী হয়ে গেলেন?

“এখন গুরুতর অসুস্থ মানুষ তরিকুল ইসলাম, এদেশের বর্ষীয়ান নেতা, তিনি যাবেন নাশকতা করতে? খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজ্জাক খান, নিতাই রায় চৌধুরীর মতো বর্ষীয়ান নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এই সরকার। কত নির্দয়, নির্বিবেক হতে পারে তারা?”

মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ মালেক, সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শহীদুল ইসলাম বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মনির খান, হাসান মামুন, রফিক শিকদার, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, শেখ মো. শামীম, ফেরদৌসী আক্তার ওয়াহিদা, সাবেরা আলাউদ্দিন, কাজী মফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।