বুধবার কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ‘বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল-২০১৮’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপও দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
গত ১৯ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৬১ সালের ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে পাস করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কেউ বিএডিসির নোটিস অমান্য করলে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। যদি কেউ এ অপরাধ দ্বিতীয়বার করে তবে প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে।
আগে নোটিস দেওয়ার বিষয়টি থাকলেও তা অমান্য করলে কোনো দণ্ড ছিল না।
কর্পোরেশনের নিয়োগ করা ঠিকাদারকে বাধা এবং কর্পোরেশনের কোনো সীমানা বা দিকনির্দেশক চিহ্ন অপসারণ করলেও ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
কর্পোরেশনের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন কোনো জমিতে চাষাবাদ করেন বা চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করেন বা ওই জমিতে কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করেন বা গাছ কাটেন বা ভূমি খনন করেন, তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে এসব অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ২০০ টাকা জরিমানা।
বিলে বলা হয়েছে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো পানি ব্যবহারকারী সেচ চার্জ দিতে ব্যর্থ হলে অনধিক ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার সম্মুখীন হবে।
অনুমোদন ছাড়া বিএডিসির জমিতে চাষ, স্থাপনা নির্মাণ, গাছ কাটলে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়ছে।