বুধবার নগর ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সভায় তিনি বলেন, আগামী রোববার আইনটি তিনি সংসদে উপস্থাপন করবেন।
“এরপর এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে। তারা যাচাই-বাছাই করবেন। পরে পার্লামেন্টের সর্বশেষ অধিবেশনে (অক্টোবরে) এটি পাস হবে ইনশাল্লাহ।”
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অগাস্টের শুরুতে তড়িঘড়ি এ আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করে সরকার।
আন্দোলনকারীরা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী চালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেও প্রস্তাবিত আইনে প্রাণহানির ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এক মতবিনিময় সভায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর-কিশোরীদের আন্দোলনকে ‘স্যালুট’ জানিয়ে কাদের বলেছিলেন, “তারা আন্দোলন করেছে বলেই আইনটা যেভাবেই হোক আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
“কিছু কিছু জায়গায় সংশোধনের সুযোগ আছে; সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশের মানুষের জন্য আইন যদি যুক্তিযুক্ত না হয় তাহলে আইন এর সুফল দেবে না।”
বুধবার ডিটিসিএ সভায় মন্ত্রী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ কমাতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ থাকবে।
রাস্তা খোঁড়াখুড়ি বন্ধ থাকলেও প্রকল্পের অন্য কাজ চলবে বলে জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার বিআরটি চালু হলে উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেলে চড়া শিশুদেরও হেলমেট পরা নিশ্চিত করতে সভায় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।
“মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট পরার পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। এটা ইতিবাচক। তবে এটা শিশুদের ক্ষেত্রেও কার্যকর করতে হবে। দুর্ঘটনায় পড়লে শিশুরাও যেন মারাত্মক ক্ষতির শিকার না হয়।”
নাগরিকদের সচেতন করতে সেপ্টেম্বরজুড়ে ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কোনো মটরসাইকেল চালকের হেলমেট না থাকলে তার গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ না করতেও অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মন্ত্রী জানান, রাজউক থেকে ঢাকার পূর্বাচল উপশহর প্রকল্পে বাস ডিপো করতে ডিটিসিএ-এর নামে সাত একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রকিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সাভার, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র, পুলিশ, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা এ সভায় অংশ নেন।
আরও খবর