যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর (ইউএসজিএস) এবং ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলোজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৩।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯৩ কিলোমিটার এবং রংপুর থেকে ১১৮ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে আসামের সপ্তগ্রামের কাছাকাছি এলাকায়, ভূপৃষ্ঠের ৯ কিলোমিটার গভীরে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভারতের গুয়াহাটি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ভুটানের থিম্পু থেকেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এবং ১৩ এপ্রিল ৬ দশমিক ৯ মাত্রার দুটি ভূমিকম্পে পুরো বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে। কয়েকটি ভবন হেলে পড়ে, হুড়োহুড়িতে আহত হয় বহু মানুষ।
ওই বছর ৪ জানুয়ারি ভারতের মনিপুর অঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকা, জামালপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটে হুড়োহুড়ির মধ্যে আতঙ্কে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। বেশ কিছু ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা যায়।
তার আগে ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে আট হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়; ক্ষয়ক্ষতি হয় ভারত ও বাংলাদেশেও ।
রিখটার স্কেলে ৪ থেকে ৪ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে মৃদু ভূম্পিকম্প হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া ৫ থেকে ৫ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে ‘মাঝারি’, ৬ থেকে ৬ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে ‘শক্তিশালী’, ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে ‘ভয়াবহ’ এবং মাত্রা ৮ এর বেশি হলে ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’ ভূমিকম্প বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন