সংসদ অধিবেশন চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

দশম সংসদের ২২তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। কার্য উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই অধিবেশনের স্থায়িত্বকাল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2018, 11:44 AM
Updated : 9 Sept 2018, 03:04 PM

রোববার বিকাল পাঁচটায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় অধিবেশন।

অধিবেশন শুরুর আগের স্পিকারের সভাপতিত্বে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই ২২তম অধিবেশন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এটিই দশম সংসদের অধিবেশন হতে পারে বলে ধারণা করা হলেও অক্টোবরে সুবিধাজনক সময়ে আরেকটি অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে।

সংবিধান অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির সামনে।

কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সংসদ সচিবালয়ে থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন বিকাল পাঁচটা থেকে সংসদের বৈঠক শুরু হবে। তবে প্রয়োজনে অধিবেশনের সময়সীমা স্পিকার বাড়াতে বা কমাতে পারবেন বলে কার্য উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত রয়েছে।

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্য উপদিষ্ট কমিটির বৈঠকে অংশ নেন।

কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, রাশেদ খান মেনন, আ স ম ফিরোজ, মইন উদ্দীন খান বাদল এবং আনিসুল হক বৈঠকে অংশ নেন।

অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার তার কিংবা ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেন।

সংসদের ২২তম অধিবেশনে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় (ছবি: পিআইডি)

সংসদের চলমান অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন ইমরান আহমেদ, এবি তাজুল ইসলাম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ফখরুল ইমাম, নূরজাহান বেগম।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে অগ্রবর্তীজন স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ পরিচালনা করবেন। 

পরে স্পিকার চলমান সংসদের সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জাতীয় পার্টির আইনপ্রণেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

গত ২৬ জুলাই মোস্তফা রশিদী এবং জাতীয় পার্টির তাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৩ অগাস্ট মারা যান।

এছাড়া ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান, সাবেক সংসদ সদস্য কল্পরঞ্জন চাকমা, মোজাফফর হোসেন, শরীফ খসরুজ্জামান, আব্দুর রউফ মিয়া, মো. ফজলে এলাহী,  আলফাজ উদ্দিন, মো. আব্দুল মান্নান মণ্ডল, আনোয়ারা হাবীবের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ুব বখত জগলুল, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন, মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন, ভাষাসংগ্রামী হালিমা খাতুন, আব্দুল বাতেন, নৃত্যগুরু বজলার রহমান বাদল, ডেইলি অবজারভারের নির্বাহী সম্পাদক আনিস আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক কামরুল হাসান ভূইয়া, বীরঙ্গনা রমা চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেন, দক্ষিণ সুদানে গুলিতে নিহত কমান্ডার আশরাফ সিদ্দিকী, বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিম রাজীব, মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার সদস্য লিয়াকত আলী, ইটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মামুনুর রশিদ, অভিনেত্রী রানী সরকারের মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া ভারতের কেরালায় বন্যা, ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে এবং দেশে-বিদেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করা হয়।

শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর রেওয়াজ অনুযায়ী বৈঠক মুলতবি হয়।