এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলা এই ঘটনার ছয় আসামি হলেন- জাবালে নূরের দুই বাসের মালিক শাহাদাত হেসেন ও জাহাঙ্গীর আলম; দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ।
ঢাকা মহানগর (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অভিযোগপত্রে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩২৩, ৩২৫, ৩৩৪, ২৭৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর মধ্যে ৩০৪ ধারায় অভিযোগের বিষয় হল ‘অপরাধজনক নরহত্যা’। অর্থাৎ খুনের উদ্দেশ্য না থাকলেও প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের যে বাসটি দুই কলেজ শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীবকে চাপা দিয়েছিল, তা চালাচ্ছিলেন মাসুম।
সেদিন জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষির মধ্যে একটি বিমানবন্দর সড়কের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষার্থীদের উপর উঠে যায় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
ঘটনার পর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন নিহত দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম যিনি নিজেও একজন দূরপাল্লার বাসচালক। এরপর র্যাব অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে বাস মালিক, চালক ও সহকারীদের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বলেন, “ওই দুই গাড়ির চালক নিজেদের মধ্যে আগে যাবার অসুস্থ প্রতিযোগিতা করছিল। এ মামলার তদন্তকালে সাক্ষী হিসেবে ৩০৩ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।”