কারাগারে আদালত বসানো চ্যালেঞ্জ করে খালেদার নোটিস

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগারের ভেতরে আদালত বসানোর প্রজ্ঞাপন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারে সরকারকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2018, 03:53 PM
Updated : 5 Sept 2018, 03:53 PM

বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তার আইনজীবী নওশাদ জামির বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই নোটিস পাঠান।

রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।

তিনি বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার যে প্রজ্ঞাপনটা জারি করা হয়েছে, তা সংবিধান ও প্রচলিত আইনের পরিপন্থি। এতে খালেদা জিয়ার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে।

“এজন্য প্রজ্ঞাপনটি তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য আইন সচিব বরাবর আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজার রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী খালেদা।

তার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি এতদিন চলছিল কারাগারের কয়েকশ গজের মধ্যে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদপ্তরের মাঠে বিশেষ এজলাসে।

কিন্তু এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ের পর খালেদা জিয়াকে এক দিনও দাতব্য ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে হাজির করা হয়নি। প্রায় প্রতি তারিখেই আদালতকে তার অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছে কারাগারের পক্ষ থেকে। ফলে বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে মামলাটি আটকে রয়েছে সাত মাস ধরে।

এই অবস্থায় কারাগারের ভেতরেই এজলাস বসিয়ে বিচার এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

অস্থায়ী ওই আদালতেই বুধবার মামলার শুনানি নেয় ঢাকার জজ আদালত। খালেদা জিয়াকে হাজির করা হলেও অনুপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবীরা।

শুনানিতে খালেদা আদালতের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তার অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরে বিচারককে বলেন, “আপনার যতদিন ইচ্ছা সাজা দিন, আমি এ অবস্থায় বারবার আসতে পারব না।”

কারাগারে আদালত বসানোর এই পদক্ষেপকে সংবিধানবিরোধী বলছে বিএনপি।

আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপত্তার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার হাজিরার সুবিধার জন্য কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।