মঙ্গলবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সেপ্টেম্বরজুড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোল পাম্পসংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পকে অনুরোধ করেছি যে হেলমেট পরিধান করা না থাকলে কোন মটরসাইকেলে যাতে জ্বালানি সরবরাহ না করে।
“এটা ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরে চালু হয়েছে। হেলমেট না থাকলে ট্রাফিক আইন না মানলে কোনো পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না।”
সেপ্টেম্বরজুড়ে ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ ট্রাফিক কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্য হলো, ট্রাফিকের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা এবং যানজট কমানো এবং সকলে যেন আইন মেনে চলে সেবিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা।
“এই একমাসে বিভিন্ন সুধী সমাজকে নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করব।”
গত দেড় বছরের ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ লাখ ২৬ হাজার মামলা হয়েছে। গত একবছরে ভিডিও দেখে ঢাকা মহানগরে ৯৯ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনার।
ঢাকা মহানগরের ১২১টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সব স্টপেজে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা শেষ হবে।
“সেখানে সেখানে বাস যাতে না থামায় সেটা আমি নিশ্চিত করব।”
ট্রাফিক সুবিধা নেওয়ার জন্য অনুপযুক্ত যেসব গাড়িতে ফ্লাগ স্ট্যান্ড লাগানো হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সেপ্টেম্বর থেকে জাহাঙ্গীর গেইট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মডেল করিডোর চালু করা হবে জানিয়ে কমিশনার বলেন, “সেখানে অটো সিগনালের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে এবং সব ধরনের শৃঙ্খলা ও নিয়ম প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে এই মডেল করিডোর করা হবে।”
পরে আস্তে আস্তে পরবর্তী মাস থেকে এটা অন্যান্য সড়কেও চালু করা হবে বলে তিনি জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরের বাসগুলোকে ৬টি কোম্পানির মাধ্যমে চালানোর ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মূখ্য সচিবসহ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে ভৌত অবকাঠামোর পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হযেছে।