ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর সোমবার এ আদেশ দেন।
এদিন এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও অন্য মামলায় খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মামলার অপর দুই আসামি ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ( সিলভার সেলিম) এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী নূরুজ্জামান তপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে দেন।
এই শুনানি ‘শেষ বারের মত’ পেছানো হচ্ছে জানিয়ে ১১ অক্টোবর নতুন তারিখ রাখেন বিচারক।
সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে সেদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য হাজিরা পরোয়না (প্রডাকশন ওয়ারেন্ট) জারির নির্দেশ দেয় আদালত।
এ মামলার অন্যতম আসামি বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান গত ৫ মে মারা যাওয়ায় বিষয়টি এদিন আদালতকে অবহিত করা হয়।
বার বার পেছানোর পর গত ১১ ডিসেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের আংশিক শুনানি হয়।
বর্তমানে বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।