নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বৃহস্পতিবার চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি আসে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “দুই প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন দুই দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য তারা একযোগে কাজ করে যাবেন।”
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। হাসিনা ও মোদীসহ জোটভুক্ত সাত দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
এই সম্মেলনের ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর যে বৈঠক হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
“তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই’। আর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে চাই’।”
ইহসানুল করিম বলেন, দুই নেতাই বিমসটেকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, ভারতে বাংলাদেশ হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সাত দেশের জোট বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সকালে নেপালে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দাশো শেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হয়।
দুপুরে জোটের অন্যান্য নেতার সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজেও তিনি অংশ নেন।
আর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন বিমসটেক নেতারা।