সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত ইসির

বাইরে বিতর্ক আর ঘরে আপত্তির মধ্যে সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2018, 12:06 PM
Updated : 30 August 2018, 07:18 PM

৫ সদস্যের কমিশনের একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বর্জনের মধ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকলেও কমিশনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতের ভিত্তিতে সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

“উনি (মাহবুব তালুকদার) ভিন্ন পোষণ করেছেন, আমরা চারজন সম্মত হয়েছি, ” বলেছেন তিনি।

তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও নেননি তারা।

“সংসদে (একাদশ সংসদ নির্বাচনে) ইভিএম ব্যবহার হবে- এমন সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আমাদের প্রস্তুতি থাকবে।”

২০১০ সালে চালুর পর এতদিন স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হলেও সংসদ নির্বাচনে তা ব্যবহার হয়নি।

সংসদ নির্বাচনে যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা নির্বাচনী আইন সংশোধন প্রয়োজন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে; অন্যদিকে এর বিরোধিতায় সরব বিএনপি।

রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য না হলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না বলে সিইসি এতদিন বলে এলেও হঠাৎ করেই ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিল।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কমিশন সভা শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা ছাড়া ইভিএম ব্যবহারের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেরিয়ে আসেন মাহবুব তালুকদার।

এরপর বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত কমিশনের সভা চলে; মাঝে আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টায় শেষ হয় গুরুত্বপূর্ণ এই সভা।

এরপর তিন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সিইসি নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, “ইভিএম বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলে পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষে সংসদে উপস্থাপন করা হতে পারে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, এবার আরপিও সংশোধনে অনেক প্রস্তাব এলেও মূলত ইভিএমের বিষয়টি ছিল মুখ্য।

নিজেদের এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সিইসি বলেন, “আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি। সংসদের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কার হলে সংসদে ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরি হবে। কমিশন কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত নিলে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।”

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আড়াই মাস আগে ইভিএম নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব ও প্রয়োজনীয় ইভিএম পাওয়া যাবে কি না- এই প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও না হওয়ার কথা জানান।

তিনি বলেন, পরিবেশ পরিস্থিতি ‘অনুকূলে’ থাকলে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি রাখা হবে।

ইভিএমে ভোটগ্রহণ সহজ ও স্বচ্ছ হবে বলে দাবি করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপির অভিযোগ, ‘ডিজিটাল কারচুপি’র জন্য হঠাৎ করেই ইভিএম ব্যবহারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

ইসির সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিএনপি দাবি করেছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে নত হওয়ার নতুন নজির দেখাল সাংবিধানিক সংস্থাটি।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সবাইকে আস্থায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ ইসির।

মাহবুব তালুকদারের বর্জন

সকালে কমিশনের বৈঠকের শুরুতেই সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বেরিয়ে আসেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। পরে কর্মচারীর মাধ্যমে  ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পাঠান তিনি।

তিনি লিখেছেন,  “আমি মনে করি, স্থানীয় নির্বাচনে ধীরে ধীরে ইভিএমের ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ সমর্থন করি না।

“কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ইভিএম কেনা কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন মনে জাগে।”

 ইভিএম ব্যবহারে আরপিও সংশোধনীতে নানা প্রশ্নের উদ্রেক ঘটার কথাও লেখেন এই নির্বাচন কমিশনার। 

“কেবল ইভিএম ব্যবহারের কারণেই সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমান ইসির পক্ষে এ ঝুঁকি নেওয়া সঙ্গত হবে না।”

মাহবুব তালুকদার

বিকালে কমিশন সভা শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব তালুকদার সভা বর্জনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য উনারা (সিইসি ও তিন নির্বাচন কমিশনার) বসে বসে আরপিও সংশোধন করবেন; আর আমি সেখানে মূর্তির মতো বসে থাকব, তা তো হয় না। এজন্য বের হয়ে এসেছি।”

ইভিএমসহ নানা বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে ইসি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রাখতে না পারার জন্য হতাশার কথাও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

“আমরা তো আমাদের কথা রাখতে পারছি না।…আমরা বলেছিলাম সব দলের ঐকমত্য ছাড়া ইভিএম ব্যবহার করব না। প্রথম থেকেই বলে আসছি, সব দল না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। রোডম্যাপের কোথাও ইভিএম নেই।”

বিরোধিতা সত্ত্বেও ইভিএমের পক্ষে কমিশন অবস্থান নিলে তখন পরিস্থিতি দেখে নিজের করণীয় ঠিক করবেন বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেন, “আমি পাঁচ টুকরার এক টুকরা। আমি সংখ্যাগরিষ্ঠ নই, সংখ্যালঘিষ্ঠ। আমি এখনও মনে করি, সংসদ নির্বাচনের এখনও অনেক সময়। আমি তো গণতন্ত্রমনা মানুষ। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করলে তখন নির্ধারণ করব। তখনকার অবস্থা কী হবে, তা তো এখন বলতে পারি না।”

কমিশনের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত থাকলেও ইসির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চান না মাহবুব তালুকদার।

“আমি বিপরীতে অবস্থান নিয়েছি। কারও বিরুদ্ধে নয়। এটা মতের বিরুদ্ধে ভিন্নমত। সিইসির বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ করব না। অন্যের মতকে সাপোর্ট করতে হবে, এ ধরনের নীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকবে।”

রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া

ইভিএম নিয়ে ইসির তৎপরতায় সন্দেহ প্রকাশ করে আসা বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্তে নিন্দা জানিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, “এদেশের মানুষ ইভিএম চায় না, শুধু আওয়ামী লীগ চায়। যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, ভোট চুরি করে নির্বাচন করতে চায়। এ থেকে বোঝা যায়, বর্তমান ইসি কতটা সরকারের চাপে ও সরকারের বংশবদ হয়ে নিজের কথা পরিবর্তন করে ইভিএম ব্যবহারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

মাহবুব তালুকদারের আপত্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, “একজন কমিশনারের আপত্তি সত্ত্বেও আরপিও সংশোধন প্রস্তাব পাস করার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”

ইভিএম কেনা এবং নির্বাচনে তা ব্যবহার না করতে ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টও।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যবহার করা হয় এই ইভিএম (ফাইল ছবি)

জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইভিএমে যান্ত্রিক দুর্বলতার সুযোগে ভোট নিয়ে আনায়াসে কারচুপি করা যায় বলেই বিভিন্ন দেশ এটা বাতিল করেছে। আমরা যুক্তফ্রন্টের তরফ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে ইভিএম সংগ্রহ করা এবং নির্বাচনে তা ব্যবহার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে ইভিএমের পক্ষে অবস্থান জানিয়ে বিএনপির বিরোধিতার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দেশ তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাক- সেটা বিএনপি ‘চায় না’ বলেই এর বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি ভালো জিনিসকে বিতর্কিত করতে চায় বলেই ইভিএমের বিরোধিতা করছে।

আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের আপত্তির বিষয়টি নিয়ে বলার সময় বিএনপির প্রস্তাব থেকে তাকে ইসিতে নিয়োগের কথাও তোলেন।

তবে ইসিতে ভিন্নমতকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ।

কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা

ইভিএম ব্যবহারে আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখলেও ইসিকে তার অবস্থান স্পষ্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরাই তো ইভিএম শুরু করেছিলাম; অনেকদূর এগিয়েছিও। এ প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমান কমিশনও আইনগত ভিত্তিটাই কত করে রাখতে চাইছে। সময় কম এখন, স্বল্প পরিসরে তা করা যেতে পারে।”

“ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকবেই। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা, ভোটারদের আস্থা, দক্ষজনবল তৈরির কাজ ইসিকে করতে হবে,” বলেন ছহুল।

তিনি বলেন, “ইসির ভাবমূর্তি রক্ষা করতে সবার মতামত নিয়ে কাজ করতে হবে। কমিশনকে বিষয়টি ক্লিয়ার করতে হবে-কী করতে চাইছেন তারা।”

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনকে সবার আস্থাভাজন হতে হবে। ইভিএম নিয়ে কমিশন মনে হয় নিজেরাই দোটানায় রয়েছেন। কতটুকু, কীভাবে করা হবে, কতদিনে পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে ইভিএম-তা পরিষ্কার করতে হবে ইসিকে।”

প্রস্তুতি, সিদ্ধান্ত নয়: সিইসি

সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে যে ইভিএম ব্যবহার হবে, পরিস্থিতি সেরকম না। আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছি। সে কারণে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যায় কি না, সেটার প্রেক্ষাপট তৈরির জন্য আইনের পরিবর্তন চাইছি।”

তার ভাষ্য, আগামী সংসদ নির্বাচনে কমিশন যদি ইভিএম ব্যবহার করতে চায়, আইন না হলে তো তা করার সুযোগ থাকবে না, তাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত আমলে নিয়ে ইসি এগোবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

কে এম নূরুল হুদা

সিইসি বলেন, “আইন যদি সংসদ পাস করে তারপর আমরা ইভিএম প্রদর্শনী দেখাব। যদি স্টেক হোল্ডারদের সম্মতি থাকে তখন কমিশন বসবে। যদি পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল থাকে তখন ইভিএম হবে।”

ইভিএম নিয়ে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগে ইসির উপর অনাস্থা সৃষ্টির শঙ্কাও নেই নূরুল হুদার মনে।

“আমরা ইভিএম ব্যবহার করবই এমন কথা বলিনি। ইভিএম নিয়ে আমরা মুভ নিয়েছি, এটা প্রস্তুতিমূলক। আমার তো মনে হয় না [এ নিয়ে মানুষের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হবে]।”

চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তড়িঘড়ি করে নেওয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে পারে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের হাতে তো টাকা নেই। ইভিএমের বিষয়ে যে টাকা পয়সা ন্যস্ত হবে তা কমিশনের কাছে নয়; সরকারের কাছে থাকবে।”

তিনি জানান, ইভিএম নিয়ে প্রকল্প এখনও অনুমোদন হয়নি। পরীক্ষামূলক কাজে ও প্রশিক্ষণের জন্য কিছু ইভিএম কেনা হয়েছে। ৩০০টি ইভিএম রয়েছে।

অন্তত ১০০টি আসনে ইভিএমে ভোট করার মতো প্রস্তুতি রয়েছে কি না- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “এ রকম সংখ্যা বলা যাবে না। আইন পাস হোক তারপর দেখি।”

৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনেই আরপিও সংশোধন বিল পাস হলেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান নূরুল হুদা।