শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অপ্রতিরোধ্য এক বিপ্লব চলমান! শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে সারা বিশ্ব’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, ““অনিয়ম, দুর্নীতি আর রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা এই খাতকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দিকগুলোর সম্ভাবনা খুঁজতে হবে।”
“এখন সময় এসে দাঁড়িয়েছে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এতে কয়লা ও পারমানবিক শক্তির মত পরিবেশ ধ্বংসের ঝুঁকি নেই।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “বর্তমানে প্রায় প্রতিটা মানুষের মধ্যেই কর্মহীনতা ও চুরির ভাব দেখা যাচ্ছে...। দুর্নীতির যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে আমরা তাতে বিশ্বে শ্রেষ্ঠতম।”
২০২১ সাল নাগাদ জাতীয় গ্রিডে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আসার কথা থাকলেও বর্তমানে তা ৩৩ মেগাওয়াটের কিছু বেশি বলে তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম।
“পুরো বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি কয়লা-তেল-গ্যাসকে সরিয়ে দিচ্ছে। আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও জাতীয় পরিসরে বড় আকারে কোন পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, “আমাদের উচিত কয়লাকে যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে শক্তি উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।”
সেমিনারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন সোলার এনার্জি বিশেষজ্ঞ সাজিদ কামাল।