বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করে তিনি জেনেছেন, বাস মালিকদের অগোচরেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার বিকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার সঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জমান মিয়াও ছিলেন।
ঢাকার এই টার্মিনাল থেকে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলগামী বাস ছাড়ে। ঢাকার কাছের সাভার, মানিকগঞ্জ, পাটুরিয়ার বাসও ছাড়ে এখান থেকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পেয়ে যাত্রীরা বলেন, কাউন্টারগুলো থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি দামে টিকেট কিনতে হচ্ছে। নিকট দূরত্বের যাত্রীদের কাছ থেকে শেষ গন্তব্যের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
“প্রত্যেকটি বাস কাউন্টারের সামনে তাদের ভাড়ার চার্ট রয়েছে। আমরা সবাইকে বলেছি, অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মালিকরা মন্ত্রীকে বলেছেন, তাদের অগোচরেই এই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাস মালিক সমিতিও আজ আমাদের সাথে ছিলেন। তারা খুব অবাক হয়েছেন কাউন্টারে টিকিট বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ শুনে। এটা কাউন্টারের লোকজন ঘটিয়েছে।”
ঈদে বাসের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হলেও তা সামাল দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“লক্ষ লক্ষ মানুষ গাবতলীতে আসছে। বাস আসতেও সময় লাগছে। আশা করছি, সময় মতোই সবাই সবার গন্তব্যে চলে যেতে পারবে।”
সড়কে গরুর গাড়ির আসা-যাওয়ার কারণে ‘একটু সমস্যা’ হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।