ঈদের দিন বৃষ্টির আভাস

সাগরে লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কোরবানির ঈদের দিন বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর; ফলে ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানিতে বিপত্তির শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2018, 02:27 PM
Updated : 20 August 2018, 02:46 PM

পঞ্জিকার পাতায় বর্ষা শেষ হলেও মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে বেশ। ভাদ্র মাসের প্রথম ক’দিন দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপপ্রবাহও বয়ে গেছে।

সোমবার থেকে বৃষ্টির কারণে অস্বস্তিকর গরম অনেকটা কেটেছে। আরও কয়েক দিন এমন আবহাওয়া চলবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

বাংলাদেশের মানুষ বুধবার কোরবানির ঈদ উদযাপন করবে। সেদিন সকালে ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানি দেবে মুসলমান সম্প্রদায়। 

সকালে বৃষ্টি হলে নামাজ ও কোরবানি দিতে সমস্যার কথাই বলেন সবাই। তবে ঈদের দিন বিকালে বৃষ্টি হলে পশুর বর্জ্য ধুয়ে যায়।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাগরে এখন একটি লঘুচাপ রয়েছে। এটি উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে।

“ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এই প্রবণতা থাকলে বুধবার ঈদের দিন বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে, বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

এই সময়ে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আব্দুল মান্নান বলেন, দিনের যে কোনো ভাগে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় কয়েক পশলা বৃষ্টির আভাস রয়েছে। রাজধানীতে ঈদের দিন সকালে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাতে দুর্ভোগের শঙ্কা কম।

তিনি জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ সতর্কতা নামিয়ে নিতে বলা হবে।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে দেশের সর্বোচ্চ ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরের ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ত পারে।