রোববার ঢাকার কারওয়ান বাজার ‘এমটিবি’ ভবনে প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রতিবছর এ প্রকাশনা করা উচিত, এ প্রকাশনাটা কাজে লাগে, বিশেষ ক্ষেত্রে কারও সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে গু’জ হু দেখে ঠিক করে নেওয়া যায়। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুব কাজে লাগে।”
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানও বলেন, “এ প্রকাশটা নিয়মিত হওয়া উচিত, স্থপতি চিকিৎসক আইনজীবীসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে থেকে বিশিষ্টজনের নাম সংযুক্ত করা উচিত। ২০১৬ সালেরটা এখন প্রকাশিত হলেও নিয়মিত উদ্যেগ নিলে ভাল হয়। ছবি কম করে বেশিজনের কথা থাকলে ভালো হয়।”
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ‘হু’জ হু বাংলাদেশ’র প্রধান নির্বাহী নাজিনুর রহিম, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।
‘হু’জ হু’ ১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যেসহ সারা বিশ্বে অনুসরণীয় গুণীজনদের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ এবং পদক দিয়ে আসছে। ৬৭টি দেশ থেকে এ প্রকাশনাটি প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত তারা বিশ্বে ৩৩ হাজার গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে।
প্রকাশনায় প্রথমবার ‘হু’জ হু বাংলাদেশ’ পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত সন্নিবেশিত হয়েছে। তারা হলেন শিল্প ও সংস্কৃতিতে সনজীদা খাতুন, শিক্ষাক্ষেত্রে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাংবাদিকতায় তোয়াব খান, শিল্প ও সাহিত্য হাসান আজিজুল হক, সামাজিক কর্মকাণ্ডে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কৃষিতে শাইখ সিরাজ, ক্রীড়া ক্ষেত্রে আকরাম খান, শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রে রহিম আফরোজ গ্রুপ, উদ্যোক্তা এম আনিস-উদ্দৌলা, নারী উদ্যোক্তা প্রীতি চক্রবর্তী।
এছাড়া প্রবাসীদের মধ্যে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন গুণী মানুষ হিসেবে এই পদক পান। ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পান আবদুল গাফফার চৌধুরী।