শনিবার সকালে গাবতলী, মহাখালী টার্মিনাল এবং কল্যাণপুরের বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের আনাগোনা কিছুটা বাড়ে।
কিছু সড়কে যানজটে যাত্রী ভোগান্তির খবর পাওয়া গেলেও দুপুর পর্যন্ত ঢাকা থেকে সময় মতই বাস ছেড়ে গেছে বলে কাউন্টারগুলো থেকে জানানো হয়।
২২ অগাস্ট সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আর ঈদের সরকারি ছুটি আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে। মাঝে রোব ও সোমবার অফিস-আদালত খোলা থাকবে। তবে অনেকেই এই দুইদিন ছুটি নিয়ে আগেভাগেই বাড়ির পথ ধরতে শুরু করেছেন।
ফলে সবমিলিয়ে সড়কপথে ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তিদায়কই রয়েছে।
এ বিষয়ে সৌখিন পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক বলেন, “দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বাস আটকা পড়েছে। রাতের বাসগুলো এখনও এসে পৌঁছায়নি।”
যশোর-খুলনার পথে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক রবিনও জানালেন দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ফেরি পারাপারে ১৪-১৫টি বাস আটকে আছে তাদের। তবে পর্যাপ্ত বাস থাকায় আধা ঘণ্টা পরপর ছাড়ছে বলে জানান তিনি।
গাবতলীতে ঈগল পরিবহনের কাউন্টারের সামনে সপরিবারে অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী শফিউল আলম। ছুটি নিয়ে এবার আগেই গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন তিনি।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল, শেরপুর এবং সিলেট ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার বাস ছাড়ে। ময়মনসিংহ পথে কোনো বাসেই অগ্রিম টিকেট দেওয়া হয় না।
মহাখালী টার্মিনালে যাত্রী ইমরান রুকসাদ বলেন, “ভিড়ের মধ্যে পড়তে চাচ্ছিনা বলেই আগেভাগে ছুটি নিয়েছি। টার্মিনালে এসেই টিকেট পেয়েছি, কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি, বাসও সময় মতই ছাড়বে।”
এদিন কল্যাণপুরে যাত্রীদের কোনো চাপ দেখা যায়নি। তবে দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক আসিফ।
গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য আল-হামরা পরিহবনে সামনে অপেক্ষায় থাকা সুমন মিয়া বলেন, “সকালে এসেই টিকেট পেয়ে গেছি। সড়কে যানজট না থাকলেই হয় এখন।”
তবে ঈদ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী এবং মহাসড়কে গাড়ির চাপ দুটোই বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
গাবতলী বাস টার্মিনালের ভিজিলেন্স টিমের পরিদর্শক ফয়সাল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনো সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার তিনদিন বাকি, তাই যাত্রীদের চাপ বেশ কম। তবে আস্তে আস্তে চাপ বাড়বে।
“টার্মিনালগুলোতে যাত্রীরা যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আমাদের লোক থাকছে ঢাকার সবগুলো টার্মিনালে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিদর্শনে আসছেন প্রতিদিনই।”