তার পরিবারের বরাত দিয়ে বিটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ জানান, বিএসএমএমইউ’র হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হারিসুল হকের তত্ত্বাবধায়নে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি রয়েছেন নাসির আহমেদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গত ৮ অগাস্ট তিনি পায়ে আঘাত পেয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তার হাতে পায়ে পানি এসে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।”
নাসির আহমেদের ভাগ্নে এম এইচ মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,শরীর ফুলে ওঠায় বৃহস্পতিবার রাতে তারা নাসির আহমেদকে বিএসএমইউতে নিয়ে যান।
“শুক্রবার সকালে শরীর থেকে পানি বের করার প্রক্রিয়া শুরু হলে এক পর্যায়ে তার হৃদযন্ত্র ঠিকমত কাজ করছিল না। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকালে অবস্থা একটু ভালো হলে তাকে আবার সিসিইতে আনা হয়।”
কবি নাসির আহমেদ ১৯৫২ সালের ৫ ডিসেম্বর ভোলার আলীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করা এই কবির গ্রন্থের সংখ্যা ২৫টি।
একাধারে নাট্যকার ও গীতিকার নাসির আহমেদ রেডিও বাংলাদেশ ও বিটিবির প্রথম শ্রেণির গীতিকার হিসেবেও তালিকাভুক্ত। ১৯৭৭ সাল থেকে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত।
সাপ্তাহিক গণমুক্তি দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু; এরপর নাসির আহমেদ দৈনিক বাংলা, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক সমকাল ও দৈনিক বর্তমানে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (বার্তা) পদে আছেন।
সত্তর দশকের এই কবি তার কবিতার জন্য পেয়েছেন ত্রয়ী পদক (১৯৮৭) ও কবি মোজাম্মেল হক পদক (১৯৯১)। সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, বিষ্ণু দে পুরস্কার। নাটকের জন্য দুইবার বাচসাস পুরস্কার এবং সংগীতে জন্য লালন পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।