এখনও অধরা জঙ্গি নেতা সালেহীন

জঙ্গি দল জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) যাদের নেতৃত্বে ১৩ বছর আগে সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা চালিয়েছিল, তাদের কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে অনেকে, কেউ কেউ ধরা পড়ে আছে কারাগারে; কিন্তু ফাঁসির আসামি সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি এখনও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদককামাল হোসেন তালুকদারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2018, 04:18 PM
Updated : 17 August 2018, 05:30 PM

২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সালাউদ্দিন সালেহীন তাদেরই একজন।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে পালানোর পর সালাউদ্দিন সালেহীনের এই ছবিটি পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া হয়।

জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শুরা সদস্য সালেহীনকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে বাংলাদেশের পুলিশ। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ তাকে রেখেছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধীদের তালিকায়। সেখানে হাফিজুর রহমান শেখ ওরফে মাহিন নামেও সে নিজেকে পরিচিত করেছে বিভিন্ন সময়ে।

বলা হচ্ছে, এই সালেহীনই ত্রিশালে পুলিশ ভ্যান থেকে পালানো আরেক জঙ্গি জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজানকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে জেএমবির নতুন শাখা খুলেছেন, যার নাম তারা দিয়েছেন  জামায়াতুল মুজাহিদিন ইনডিয়া-জেএমআই।

বিহারের বুদ্ধ গয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের মামলার আসামি বোমা মিজান গত ৬ অগাস্ট বেঙ্গালুরুতে এনআইএ- এর এক অভিযানে ধরা পড়েন। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দারাও এখনও সালেহীনের সন্ধান পাননি। 

দেশজুড়ে জেএমবির বোমা হামলার ১৩ বছর পূর্তির দিন শুক্রবার সংগঠনটির বর্তমান তৎপরতা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জেএমবির এই পুরনো অংশের অনেকেই ভারতে ও বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের শক্তি আর আগের মত নেই। এই জঙ্গি দলের পুরনো অংশের নেতা সালেহীন ভারতেই লুকিয়ে আছে বলে আমাদের ধারণা। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে জেএমবি আরও দুর্বল হয়ে যাবে।”

ভারতের এনআইএ-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় সালেহীন

জেএমবি থেকে নব্য জেএমবি

দীর্ঘ দিনের তদন্তে পুলিশ কর্মকর্তাদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত শতকের শেষভাগে জেএমবি নামের সংগঠনটি জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে। তিনি ও তার কয়েকজন সহযোগী আফগানিস্তানে যুদ্ধেও অংশ নেন।

তিনি আফগানিস্তান থেকে ফিরলে জেএমবির কর্মকাণ্ড বিস্তৃতি পেতে থাকে। তবে তাদের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০০৩ সালের শুরুর দিকে। ওই বছর দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার কয়েকজন জঙ্গির কাছে এ সংগঠন সম্পর্কে তথ্য পায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

২০০৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে শায়খ আবদুর রহমানের পরামর্শে জেএমবির শুরা কমিটির প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ বা জেএমজেবি গঠিত হয়। ২০০৪ সালে সংগঠনটি বেপরোয়া হয়ে উঠে। রাজশাহীর বাগমারা ও নওগাঁর আত্রাই-রানীনগর ছিল তাদের বিচরণক্ষেত্র।

২০০৪ সালের ২০ মে নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলায় ইদ্রিস আলী ওরফে খেঁজুর আলী ও আব্দুল কাইয়ুম বাদশাকে হত্যা করে বাংলা ভাই ও তার সহযোগীরা। এরপর বাদশার মরদেহ উল্টো করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং খেজুর আলীকে টুকরো টুকরো করে লাশ পুঁতে ফেলা হয় মাটিতে।

গাছে লাশ ঝুলিয়ে রাখার সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে এলে দেশজুড়ে রাতারাতি পরিচিত হয়ে ওঠে ‘বাংলা ভাই’ নামটি। ২০০৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সরকার জেএমবি ও জেএমজেবির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে ওই বছর ১৭ অগাস্ট ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা ফাটিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় সংগঠনটি।

২০০৬ সালের ৬ মার্চ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে বাংলা ভাইকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। এর চারদিন আগে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শায়খ রহমানকে।

২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা ফাটিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় জেএমবি

ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যার দায়ে ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলাভাইসহ ছয় শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরেক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর। 

সেদিন দেশের ৩০০ স্থানে ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। তাদের হামলায় দুজন নিহত হন, আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ।

পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেই হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলা হয়। এসব মামলায় এ পর্যন্ত সাজা হয়েছে ৩৩৪ জনের; বিচারাধীন ৫২টি মামলায় আরও ৩৮৬ জন আসামি রয়েছেন।

এরপর সংগঠনটির কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এলেও ২০১৩ সালের পর একের পর এক হামলায় লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ‌্যাক্টিভিস্ট, পুরোহিত, যাজক, ভিন্নমতাবলম্বীরা জঙ্গি হামলায় নিহত হতে থাকে, তার মধ্যেই ফিরে আসে জেএমবির নাম।

তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার মধ্যেই ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনের নিহত হওয়ার সাক্ষী হয় বাংলাদেশ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, ভেঙে পড়া জেএমবি কয়েকটি ধারায় ভাগ হওয়ার পর তারই একটি অংশ ‘নব্য জেএমবি’ নামে সক্রিয় হয়ে দেশজুড়ে ওই ত্রাস সৃষ্টি করে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সে সময় বলেন, ২০১৩ সালে তামিম চৌধুরী এবং দিনাজপুরের সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. আবুল কাশেমের চেষ্টায় বাংলাদেশে নব্য-জেএমবির জঙ্গিবাদি কার্যক্রমের সূচনা হয়।

গুলশান হামলার পর দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলে তামিম চৌধুরীসহ নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নিহত হন, অনেকে ধরা পড়েন।

সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, “তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে যখন নব্য জেএমবি গঠন করা হয়, পুরনো জেএমবির অনেকেই তাতে যোগ দেয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এখন নব্য জেএমবিও দুর্বল হয়ে পড়েছে।”

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নব্য জেএমবি অনেকটা কোনঠাসা হয়ে এলেও এই সময়ে পুরনো জেএমবির সদস্যরা ধরা পড়েছে কম।

“তাদের অনেকে ভারতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে ভারতীয় পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। তাদের মধ্যে সালেহীনও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

২০০৬ সালে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সালাউদ্দিন সালেহীনের এই ছবিটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

কে এই সালেহীন

জেএমবির শুরুর দিকের শুরা সদস্য এই সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি নারায়ণগঞ্জের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

দেশের বিভিন্ন থানায় সালেহীনের বিরুদ্ধে ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ মামলায় তার সাজার রায় হয়েছে, এর তিনটিই হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।

১৯৯৭ সালে বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল থেকে পাস করে সালেহীন ভর্তি হন ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। তখন তিনি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী। ওই সময় থেকেই পরিবার থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে থাকেন, এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়ে জঙ্গিবাদে। 

২০০৬ সালের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিম্ন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সালেহীন নিজের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এর মধ্যে দিয়ে জেএমবির সূচনা এবং এর বিস্তার সম্পর্কে মোটামুটি স্পষ্ট একটি ধারণা পায় পুলিশ।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সালেহীন বলেন, “১৯৯৯ সালে বেনামে বাসাবোর কদমতলায় একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। শায়খ আব্দুর রহমান, আমি, হাফেজ মাসুদ, শাহেদ ও রানা প্রথম মজলিসে শুরার সদস্য হই। পরে শাহেদ ও রানা দল ত্যাগ করলে সেখানে অন্য দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০১ সালে এই সংগঠনটি কাঠামো দিয়ে নাম রাখা হয় ‘জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’।

সালেহীন আদালতে বলেন, ২০০১ সালের পর কাজের সুবিধার্থে সারা দেশকে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। তিনি পান ঢাকার উত্তর অঞ্চল তথা ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জের দায়িত্ব। পরে ২০০২ সালে সিলেটের দায়িত্বও তাকে দেয়া হয়।

ওই সময় জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার সানা কৈর গ্রামে হৃদয় রায় নামে এক তরুণকে হত্যা করেন সালেহীন ও তার সহযোগীরা। বরিশালের ছেলে হৃদয় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে একটি মিশনের হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিনয় করে যিশুর জীবনকাহিনী তুলে ধরতেন- এটাই ছিল তার ‘অপরাধ’।

ওই মামলায় ২০১৩ সালে হাই কোর্টের রায়ে সালেহীনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। গনি গোমেজ নামে আরেক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানকে হত্যার দায়ে হাই কোর্ট সালেহীনসহ দুই জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় একই বছর। 

আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড হলেও তার বিরুদ্ধে আপিল করেননি সালেহীন। বরং তিনি দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সালাউদ্দিন সালেহীনসহ তিন জঙ্গিকে

মুক্তাগাছা থানার ২০০৬ সালের একটি বিস্ফোরণ মামলায় শুনানির জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে সালেহীনসহ তিন জঙ্গিকে নিয়ে ময়মনসিংহের আদালতে যাওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিশালে জঙ্গিদের হামলার মুখে পড়ে একটি প্রিজন ভ্যান।  

ওই ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জেএমবির জঙ্গিরা। বাকি ‍দুজন হলেন মৃত্যুদণ্ডের আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ এবং যাবজ্জীবনের আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান।

পালানোর পথে ওইদিনই মির্জাপুরে গ্রেপ্তার হন রাকিবুল হাসান। পরে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি।

বাকি দুজনের কোনো খোঁজ না পেয়ে বাংলাদেশের পুলিশ তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।

ওই বছরের অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হওয়ার পর এর সঙ্গে জেএমবির নাম জোরেশোরে উচ্চরিত হতে থাকে। তখনই ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মিজান আর সালেহীনের খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেন। বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গেও তারা তথ্য বিনিময় করেন।  

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সালেহীন ও মিজান ভারতে জামায়াতুল মুজাহিদিন ইনডিয়া-জেএমআই নামে জঙ্গি কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন। সংগঠনের কথিত মিডিয়া উইং শাম আল হিন্দে প্রকাশিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে তুলে ধরেছেন জেএমআইয়ের আমির হিসেবে।

ওই সাক্ষাৎকার থেকে সালেহীনকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভারত যাতে হিজরত আর জিহাদের একটি কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি, যাতে ভারতের মানুষ নতুন খিলাফতের ভিত্তি গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

পুরনো খবর