সড়কে বিশৃঙ্খলা: ‘আসল’ হোতাদের শাস্তি দাবি

সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী মালিক, শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও বিআরটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া না হলে সড়কে ধর্মঘট ডাকার ঘোষণা এসেছে একটি শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2018, 08:10 AM
Updated : 17 August 2018, 08:10 AM

শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে ওই সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বাস, ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা অংশ নেন।  

শ্রমিকদের নানা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সিপিবি নেতা মনজুরুল আহসান খান এই সমাবেশে বলেন, “সড়কে বিশৃঙ্খলার দায়ে আসল গডফাদারদের গ্রেপ্তার না করলে সড়কে আবারও নেমে আসবে এ দেশের সাধারণ মানুষ। তখন শুধু ছাত্র নয়, তাদের সঙ্গে নামবে শ্রমিক, চালকরাও। প্রয়োজনে আমরা সারা দেশে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেব।”

দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর আন্দোলনের মুখে গত ৬ অগাস্ট সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শাস্তি দুই বছর বাড়িয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান করা হয়।

তবে চালক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রমাণ হলে দণ্ডবিধির ৩০২ কিংবা ৩০৪ ধারায় তার বিচার করা যাবে। এর মধ্যে ৩০২ ধারায় খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

ওই খসড়া আইনে সড়কে মৃত্যুর জন্য পরিবহন মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।  

মনজুরুল আহসান খান বলেন, “এই মালিকরা নানা সময়ে শ্রমিকদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে। এদের কারণেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাচ্ছে।”

ত্রুটিপূর্ণ সড়ক নির্মাণের জন্য দায়ী সওজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শ্রমিকদের নিয়ে নানা ‘ষড়যন্ত্র চলছে’ মন্তব্য করে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সমাবেশে বলেন, “একটি কায়েমি স্বার্থ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে এখন ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক-জনতাকেও একতাবদ্ধ হতে হবে।”

অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, শ্রমিক নেতা তৌফিকুল ইসলাম সমাবেশে বক্তব্য দেন।