বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রয়াত দুদক পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলামের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
আশরাফ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পরিবারের সদস্যরা বুধবার সকালে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল কার্ডিয়াক হাসপাতাল নিয়ে যান। কিন্তু ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দিলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি উল্লেখ করে শোকসভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এই কর্মকর্তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, “আশরাফ একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও চৌকস কর্মকর্তা ছিলেন। আমরা যাচাই-বাছাই করেই কাস্টমস ক্যাডারের অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার এই কর্মকর্তাকে দুদকে এনেছিলাম। মাত্র চার মাসেই তিনি মানিলন্ডারিং অনুবিভাগে নিপুণভাবে কাজ শুরু করেছিলেন।”
দুদক চেয়ারম্যান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “অসুস্থতা নিয়ে যে লোকটি হাসপাতালে গেল, হাসাপাতাল তাকে ভর্তি না করে এবং কোনো প্রকার জরুরি চিকিৎসা না দিয়ে কীভাবে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিল!”
তিনি প্রশ্ন রাখেন, “নৈতিকভাবে কি হাসপাতাল এ কাজটি করতে পারে? এই মৃত্যুর দায় কে নেবে?”
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা পেশায় বিদ্যমান বিধি-বিধানের ব্যত্যয় ঘটেছে কি-না, তা দুদক খতিয়ে দেখবে বলে জানান তিনি।
অন্যদের মধ্যে দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, প্রয়াত আশরাফুল ইসলামের বড় ভাই র্যাবের পরিচালক মো. মইনুল ইসলাম, দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী শোকসভায় বক্তব্য দেন।