জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেই স্মৃতিচারণ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টকে ইতিহাসের ‘ঘৃণ্য দিন’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার টিএসসি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ইতিহাসের একটি ঘৃণ্য দিন। এই দিন বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের কথা ছিল। তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে সাজ সাজ রব চলছিল।
“কিন্তু তার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয়নি। এর আগেই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে তাকে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার থেকে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করা হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবন ও হলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
শোক দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজন করে ‘বাঙালির বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের দীর্ঘ বারান্দাজুড়ে স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কয়েকশ ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয় এই প্রদর্শনীর।
সকাল সাড়ে ১০টায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
উপাচার্যের সাথে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন ও সহ-সভাপতি মীর আরশাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুবার্ষিকীতে জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সব হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে দোয়া এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।