ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে হাতে আঁকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি।

তারেক হাসান নির্ঝর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2018, 07:15 AM
Updated : 15 August 2018, 07:15 AM

জাতির জনকের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ৪৩ ফুট উচ্চতা ও ৩৫ ফুট প্রস্থের প্রতিকৃতিটি বসানো হয়েছে মিলন চত্বরসংলগ্ন রাস্তার পাশে।

৬৩টি স্বতন্ত্র ক্যানভাসের সমন্বয়ে তৈরি করা এই ছবিটি আঁকতে টানা তিন দিন কাজ করেছেন বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের প্রায় ১৫০ জন শিল্পী।

অনেকগুলো ছবি বাছাই করে এই প্রতিকৃতির নকশা তৈরি করেন ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের শিক্ষক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ; মূল চিত্র অংকনে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ টুটুল।

‘অ্যাক্রেলিক রঙে’ আঁকা এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ছবিটি বিভিন্ন জেলায় প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে চারুশিল্পী সংসদের।

মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এই প্রতিকৃতির উদ্বোধন করেন।

পরে তিনি বলেন, “জাতির পিতা নিজের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ গড়ে গেছেন। চারুশিল্পীরা বঙ্গবন্ধুর যে প্রতিকৃতি এঁকেছেন তাতে আমি অভিভূত। আজ এখানে বসে ছবিটির দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছে, আমি ৭১ সালে যেভাবে তার সঙ্গে বসতাম সেভাবেই বসে আছি।

“ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা  জানা নেই। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নন সারা বিশ্বের নেতা ছিলেন।”

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “১৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে অনন্য একটি দিন। কারণ এই দিনটিতে জাতির পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসত চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তিনি আসতে পারেননি। চারুশিল্পী সংসদের এই উদ্যাগে আমি অভিভূত। এইভাবেই আগামীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে পড়বে।"

জাতির পিতার সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি আঁকার কাজটি কীভাবে এগিয়েছে সে বিষয়ে তুলে ধরেন বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর অনেক ছবিইতো আঁকা হয়। কিন্তু আমরা ভাবলাম ‘গণচরিত্রের’ কিছু একটা করার। এরপর আমরা শুরু করলাম পোট্রেট নির্বাচন। কয়েকদিন ধরে অনেকগুলো ছবি বাছাই করে একটি ছবি নির্বাচন করলাম।

“শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, কিরীটি রায় ও হারুন-অর রশিদ টুটুলকে নিয়ে একটা কমিটি করা হয়েছিল। বিকাশ লে-আউট তৈরি করেছে আর টুটুল দেখেছে ছবি আঁকার বিষয়টা। মূল কাজটা আমরা করেছি টিএসসির সুইমিংপুলে।”

মূল ছবির শিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইনের সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার আসলে কিছু নেই, কিন্তু তাকে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয় আছে। সেই ছড়িয়ে দেওয়ার জায়গা থেকেই আমরা এ কাজটি করেছি।"