মঙ্গলবার রাত ৮টার পর শামসুননাহার হলের সামনে থেকে ইমিকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশের একটি দল।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর ও একজন হাউজ টিউটরের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় ইমিকে।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী ইমি শামসুন্নাহার হলে থাকেন। কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনে সক্রিয় ইমি নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষেও সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার ছিলেন।
ইমিকে ধরে নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেছিলেন, তাকে জানিয়েই ইমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন কন্টেন্ট ছড়ানোয় ওকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ রাতে ডিবির মহিলা পুলিশ নিয়ে গেছে। আমাদের অবহিত করেই নিয়েছে।”
তবে ডিবি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ডিএমপি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ইমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে অবশ্য ডিএমপি নিউজ সেই প্রতিবেদনটি তুলে নেয়।
খুলনার মেয়ে ইমি সাংস্কৃতিক সংগঠন স্লোগান ৭১-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কার্যকরী পরিষদের সাবেক সদস্য তিনি। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটিতেও যুক্ত তিনি।