মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল লিভেবলিটি ইনডেক্সে’ দেখা যাচ্ছে, বাসযোগ্যতার বিবেচনায় এই সূচকে ঢাকার চেয়ে ‘বাজে অবস্থা’ কেবল যুদ্ধবিধস্ত সিরিয়ার শহর দামেস্কের।
স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোসহ ৩০টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি শহরের বাসযোগ্যতা নিরূপণের চেষ্টা করা হয় ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এই বার্ষিক সমীক্ষায়।
এই বিচারে ঢাকার স্কোর এবার একশর মধ্যে ৩৮, যেখানে গত বছরের প্রতিবেদনে ৩৮.৭ স্কোর নিয়ে ১৪০টি দেশের মধ্যে ঢাকা ১৩৭ নম্বর অবস্থানে ছিল।
বাসযোগ্যতা নিরূপণে মূল যে পাঁচটি সূচক ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিবেচনা করেছে, তার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর দিক দিয়ে ঢাকার অবস্থা সবচেয়ে করুণ।
স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের স্কোর ২৯.২, যা দামেস্কের সমান। আর অবকাঠামোতে ঢাকার অর্জন ২৬.৮, যেখানে দামেস্কও ইআইইউর কাছ থেকে ৩২.১ নম্বর পেয়েছে।
মেলবোর্নের স্কোর ৯৭.৫ থেকে বেড়ে এবার ৯৮.৪ হলেও ভিয়েনা উন্নতি করেছে তার চেয়েও বেশি। অস্ট্রিয়ার রাজধানীর স্কোর গতবারের ৯৭.৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৯.১।
সংস্কৃতি ও পরিবেশ সূচকে পশ্চিম ইউরোপের এই শহরের স্কোর ৯৬.৩, বাকি সবগুলোকে ১০০ তে ১০০।
লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, বার্লিন বা সাংহাইয়ের মত শহর এই তালিকার শীর্ষ দশে আসতে পারেনি। তবে এক কানাডারই তিন শহর ক্যালগেরি ভ্যাঙ্কুভার ও টরন্টো রয়েছে তালিকার ৪, ৬ ও ৭ নম্বরে।