প্রথম দফায় চার দিনের হেফাজত শেষে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে আরও ১০ দিনের হেফাজত চান তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বিকাশ কুমার পাল।
অন্যদিকে এই অভিনেত্রীর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী এএইচ এম ইমরুল কাওসার ।
উভয় পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক আসামিকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এসআই শওকত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, নওশাবার সঙ্গে আর কার কার মেইল যোগাযোগ রয়েছে, তাদের মেইল আইডি, নওশাবার নিজের আর কোনো মেইল আইডি রয়েছে কি না তা জানার জন্য, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আবারও তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।
“অন্যদিকে আসামির আইনজীবী জামিনের আবেদনে বলেন, নওশাবার অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল না। সরকার বিরোধিতার লক্ষ্যে কোনো কার্যক্রম ছিল না। তিনি ভুল তথ্য পেয়েছিলেন মাত্র।”
একই বিচারক এর আগে রোববার এই অভিনেত্রীকে চার দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।
গত শনিবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধার পর জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়লে অভিনেত্রী নওশাবা বিকাল চারটার দিকে ফেইসবুক লাইভে জিগাতলায় হামলায় দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার খবর জানান।
শনিবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নওশাবাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব; নেওয়া হয় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নওশাবা জানান, ফেইসবুক লাইভের সময় তিনি ঘটনাস্থলে নয়, উত্তরায় একটা শুটিং স্পটে ছিলেন। কিন্তু এমনভাবে লাইভ করছিলেন যেন তার সামনেই ঘটনা ঘটছে।
অন্য একজনের অনুরোধে নওশাবা একাজ করেছেন বলে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছিলেন।