শুক্রবার সকালে মনিপুরী পাড়ায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। আমরা যাকে চাচ্ছি কিংবা তারা যাকে চাচ্ছে তা কিন্তু আদানপ্রদান হচ্ছে। আমরা সময়মত তাকেও (বোমা মিজান) নিয়ে আসব।"
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) একটি দল গত সোমবার (৬ অগাস্ট) বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে। ওই বাড়ি থেকে কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও বিস্ফোরকের নমুনাও জব্দ করা হয়।
২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জেএমবির যে তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, বোমা মিজান তাদেরই একজন।
তাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। তবে ওই সময়ই তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান বলে পুলিশের ধারণা।
কক্সবাজারে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের একটি আদালত বোমা মিজানকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। চট্টগ্রামের আদালতে বোমা হামলার দায়ে পরের বছর তার ২৬ বছর এবং বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম রাখার দায়ে ঝিনাইদহে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়ে ২০০৮ সালে আরেকটি আদালত মিজানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আর এক বিচারকের এজলাসে বোমা হামলার দায়ে তার হয় ২০ বছরের কারাদণ্ড।সর্বশেষ গতবছর আরেক মামলার রায়ে চট্টগ্রামের আদালত বোমা মিজানতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।