দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সর্বোচ্চ সাজা হবে ৫ বছর জেল

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2018, 08:10 AM
Updated : 6 August 2018, 05:08 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সম্পূরক এজেন্ডা’ হিসেবে এ অইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এমন এক সময়ে সরকার এ আইনের খসড়া অনুমোদন করল, যখন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী চালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে এই আইনে যাই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত বা প্রাণহানি ঘটলে তা ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩০৪ ধারা অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে।

তবে দণ্ডবিধির কোন ধারায় মামলা হবে- তদন্ত কর্মকর্তা তা সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নির্ধারণ করবেন বলে জানান তিনি।

“যদি বোঝা যায় সে (চালক) স্বেচ্ছায় কাজটা করেছে, ভলান্টারিলি কাউকে সে পিষে দিল- এরকম ঘটনা, তাহলে পেনাল কোডের সংশ্লিষ্ট ধারায় এর শাস্তি হবে। তদন্তে নির্ধারণ হবে এটা কোন লাইনে যাবে, (দণ্ডবিধির) ৩০২ ধারায় হবে, নাকি ৩০৪ ধারায়।”

আর ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪ (বি) ধারায় যাই থাক না কেন, চালকের বেপরোয়া চালনা বা অবহেলাজনিত কারণে দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে বা প্রাণহানি ঘটলে সড়ক পরিবহন আইনে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ড বলে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে অনুমোদিত খসড়ায়।

নতুন আইনে সাজার মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও অর্থদণ্ড নির্ধারণ করা হয়নি জানিয়ে শফিউল বলেন, “সিচুয়েশেনের উপর নির্ভর করে অর্থদণ্ডের পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।”

তিনি দাবি করেন, পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর সব শ্রেণির ‘সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতেই’ নতুন আইনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে আইমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দণ্ডবিধির ৩০৪ (বি) ধারায় সাজা এক সময় সাত বছর থাকলেও ১৯৮৫ সালে তা সংশোধন করে তিন বছর করা হয়। ওই ধারা নতুন করে সংশোধন না করে এবার নতুন সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সাজা বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে।

যা আছে দণ্ডবিধিতে

ধারা ৩০২: কোনো ব্যক্তি যদি খুনের অপরাধ করেন, তিনি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং তার সঙ্গে অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।

ধারা ৩০৪: হত্যার উদ্দেশ্য না থাকার পরও মৃত্যু ঘটলে তা ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ বিবেচনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা দশ বছরের কারাদণ্ড এবং তার সঙ্গে অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।

ধারা ৩০৪ (বি): বেপরোয়া যানবাহন চালনার কারণে মৃত্যু ঘটলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ড দেওয়া যাবে।

 

প্রেক্ষাপট

সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে সচরাচর ৩০৪(খ) ধারায় মামলা হয় এবং ওই ধারায় মাত্র তিন বছরের জেল হওয়ার কারণে চালকদের বেপরোয়া মনোভাব এবং সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে বলে মনে করে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলো।

এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য আইনে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করার দাবি ছিল তাদের।

এর মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় গত বছর ৩০৪ ধারায় বাস চালকের যাবজ্জীবন এবং ট্রাকচাপায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে নরহত্যা বিবেচনা করে ৩০২ ধারায় চালকের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর ধর্মঘটে দেশ অচল করে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় পরিবহন শ্রমিকরা।

১ মার্চ সেই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলোর শীর্ষ ফোরাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছিলেন, পরিবহন শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি ‘আইনগতভাবে’ সমাধানের জন্য অগ্রসর হবেন তারা। এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে ‘সহযোগিতার আশ্বাসও’ তারা পেয়েছেন।

এরপর গত বছরের ২৭ মার্চ নতুন সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদন পায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সেদিন বলেছিলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির কথাই বলা হয়েছে খসড়া আইনে।

নীতিগত অনুমোদনের পর ওই খসড়া যাচাই ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকে প্রায় দেড় বছর। এর মধ্যে গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাজধানী থেকে তাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

এই আন্দোলন থেকে নয়টি দাবি উঠে আসে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে, ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর মধ্যে প্রথম দাবিটি হচ্ছে- বেপরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।

তাদের এই আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের বিষয়টি গতি পায়। গত ১ অগাস্ট ‘ভেটিং’ শেষে খসড়াটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।

গাড়ির মালিক সোহাগের মামা, তিনি সিটি করপোরেশনকে ভাড়া দিয়েছেন। আর করপোরেশনে চাকরি করেন নানা, কিন্তু কারওয়ানবাজার এলাকা থেকে ময়লার গাড়ি চালানোর দায়িত্বটা ১৩ বছরের সোহাগের ওপরই পড়েছে।

আরও যা যা থাকছে আইনে

অন্যদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেবল মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রিফিং এলেও সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামও তার সঙ্গে ছিলেন।

সড়ক সচিব বলেন, “বেপরোয়া গাড়ি চালনার কারণে প্রাণহানির ক্ষেত্রে তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় ইন্টেনশন (ইচ্ছাকৃত) ছিল তবে এর শাস্তি ৩০২ ধারা অনুযায়ী হবে, এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক নিরাপত্তার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই জানিয়ে সচিব নজরুল বলেন, “এটা কিলিং পর্যায়ে গেলেই কেবল ৩০২ এ যাবে।”

# বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর শাস্তি সর্বোচ্চ চার মাসের জেল বা ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড। নতুন আইনে এজন্য ছয় মাসের জেল ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

# নতুন আইনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালানোর শাস্তি হবে ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। আগে এই অপরাধের সাজা ছিল তিন মাসের জেল বা দুই হাজার টাকা জরিমানা।

# ফিটনেসবিহীন গাড়ি জন্য শাস্তি বর্তমানে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেল বা দুই হাজার টাকা জরিমানা। নতুন আইনে তা ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।

# গাড়ির চেসিস পরিবর্তন, জোড়া দেওয়া, বডি পরিবর্তন করার শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ছিল, তা বাড়িয়ে এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।

# নতুন আইন পাস হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর পেশাদার ডাইভিং লাইসেন্স পেতে চাইলে বয়স হতে হবে ২১ বছর। অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ না থাকলে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না।

# প্রত্যেক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে ১২ পয়েন্ট করে বরাদ্দ থাকবে। অপরাধ করলে পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হয়ে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।

# ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তি অপ্রকৃতস্থ, অসুস্থ, শারীরিক বা মানসিকভাবে অক্ষম, মদ্যপ বা অপরাধী হলে সরকার তার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।

# ভাড়ায় খাটে এমন যানবহান যেমন- সরকারি, লাশ বহনকারী ও সৎকারে নিয়োজিত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স এবং রেকারগুলোকে রুট পারমিটের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

# নতুন আইনে কর্তৃপক্ষ জনস্বর্থে সমগ্র বাংলাদেশ বা যে কোনো এলাকার জন্য যে কোনো ধরনের মোটরযানের সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে পারবে। যে কোনো ধরনের গাড়ির জীবনকালও প্রজ্ঞাপন দিয়ে সরকার নির্ধারণ করে দিতে পারবে।

# চালক ও তার সহকারীরা যাতে যথাযথভাবে বিশ্রাম পায়, সেজন্য সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মঘণ্টা ও বিরতিকাল নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে। নিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তা মেনে চলতে হবে।

# চালকের সহকারীদের যানবাহন চালানোর দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। সড়ক বা মহাসড়কে উল্টে পথে গাড়ি চালাতে পারবে না। মোটরযান চালানোর সময় চালক মোবাইল ফোন বা অনুরূপ কিছু ব্যবহার করতে পারবেন না।

বাসচাপায় দুই সহপাঠির মৃত্যুর খবরে রাস্তায় নেমে জাবালে নূর পরিবহনের বাস ভাংচুর করে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

সড়কের দ্রুটির জন্য দুর্ঘটনা হলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী দায়ী হবেন কি না- সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তাদেরকে দায়ী করা হবে। … কোনো সরকারি কর্মচারী তার উপর অর্পিত দায়িত্ব অবহেলা বা ত্রুটিপূর্ণভাবে পালনের জন্য দুর্ঘটনা ঘটলে ওই কর্মচারীকে দায়ী করে প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”

অদক্ষ চালক নিয়োগ করলে মালিকদের সাজা হবে কি না- জানতে চাইলে শফিউল বলেন, চুক্তি করতে হলে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে, আর শ্রম আইন অনুযায়ী মালিক ও চালককে চুক্তিপত্র করতে হবে।

নতুন আইনে মোটরযানের গতিসীমা, শব্দমাত্রা এবং পার্কিংয়ের বিষয়েও বিস্তারিতভাবে বলা আছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মোটরযান চলাচলে আইনে সাধারণ নির্দেশাবলী দেওয়া আছে জানিয়ে সচিব বলেন, মদ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না। নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে চালকের সহকারী গাড়িতে অবস্থান করতে পারবে না।

এছাড়া সিট বেল্ট বাধা, যান চলাচলে যাত্রীরা যাতে চালককে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করেন; মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে যাতে অন্য কেউ না বসতে পারেন এবং যাত্রীদের সিটবেল্ট বাধার বিষয়ে নির্ধারিত বিধান অনুসরণে নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

প্রস্তাবিত আইনে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, “কোনো মোটরযান দুর্ঘটনায় কেউ আঘাতপ্রাপ্ত বা মারা গেলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি তার উত্তরাধিকারী আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক ক্ষতিপূরণ বা চিকিৎসার খরচ পাবেন।

“এই সহায়তা তহবিল কীভাবে গঠন হবে আইনে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। ওই তহবিল পরিচালনায় ট্রাস্ট্রি বোর্ড করা হবে।”

সরকারি অনুদানের পাশাপাশি মোটরযানের মালিকের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদা, এই আইনের অধীন জরিমানার অর্থ, মালিক সমিতির অনুদান, মোটর-শ্রমিক ফেডারেশন বা সংগঠনের অনুদান বা অন্য যে কোনো বৈধ উৎস থেকে পাওয়া অর্থ নিয়ে এই তহবিল গঠন করা হবে।

শফিউল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট চালক ও তার সহকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানা এবং ক্ষেত্রমত ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসা সেবা ও হাসপাতালকে অবহিত করবে। আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির জীবন রক্ষার জন্য নিকটস্থ সেবাকেন্দ্র বা হাসপাতালে পাঠানো এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।

“পুলিশ দেশব্যাপী টোল ফি নম্বর প্রবর্তন করবে (জরুরি নম্বর ৯৯৯ প্রবর্তন করা হয়েছে) যার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত মোটরযানের চালক ও তার সহকারী, মালিক, পরিচালক বা তাদের প্রতিনিধি বা অন্য কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন।”