দুর্ঘটনায় মৃত্যু: শাস্তির প্রশ্নে কী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার?

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটে উত্তেজনা-উৎকণ্ঠার মধ্যেই নতুন সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় যাচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2018, 01:22 PM
Updated : 5 August 2018, 02:20 PM

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি কি হবে- সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেটাই চূড়ান্ত করতে হবে সরকারকে। 

দেড় বছর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া খসড়া আইনে এই অপরাধে শাস্তির বিষয়টি আগের মতই দণ্ডবিধির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আটদিন ধরে রাজধানী অচল করে আন্দোলন চালিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া চালকের ফাঁসির সাজা আইনে সংযোজন করার দাবি জানিয়ে আসছে।

অন্যদিকে ওই খসড়ায় বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির মাত্রা ও চালকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত নিয়ে আপত্তি রয়েছে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যানবাহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে তারা সারা দেশে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রাখায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এই পরিস্থিতিতে আইন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া চূড়ান্তভাবে পাসের জন্য সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকের এজেন্ডাভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রীদের কাছেও ওই খসড়ার অনুলিপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রোববার ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, “তাদের (শিক্ষার্থী) দাবি অপূর্ণ নেই। নয়টি দাবির দুটি দাবি, যেমন আইনের কথা বলেছে সেটার সময় লাগবে, আগামীকাল সেটা কেবিনেটে উঠছে।“

আর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর তৈরি খসড়াটি পড়েছেন- এমন একজন মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, শাস্তির বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে। 

“আইনটি নিয়ে মন্ত্রিসভায় বিস্তারিত আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাই এ নিয়ে এখন কথা বলা ঠিক হবে না। কারণ এই আইনের পক্ষে যেমন বেশিরভাগ মানুষের জোরালো অবস্থান রয়েছে, তেমনি একটি পক্ষ আইনটির বিরোধিতাও করছে।”

শিক্ষার্থীদের নয়টি দাবি এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে

ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে সড়কে মৃত্যুর ক্ষেত্রে তিন রকমের বিধান আছে। ওই ঘটনা নরহত্যা হলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড, মৃত্যুর বিষয় `খুন‘ না হয়ে থাকলে ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  এবং বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটালে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে সচরাচর ৩০৪(খ) ধারায় মামলা হয় এবং ওই ধারায় মাত্র তিন বছরের জেল হওয়ার কারণে চালকদের বেপরোয়া মনোভাব এবং সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে বলে মনে করে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলো।

এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য আইনে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করার দাবি ছিল তাদের।

এর মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় গত বছর ৩০৪ ধারায় বাস চালকের যাবজ্জীবন এবং ট্রাকচাপায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে নরহত্যা বিবেচনা করে ৩০২ ধারায় চালকের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর ধর্মঘটে দেশ অচল করে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় পরিবহন শ্রমিকরা।

১ মার্চ সেই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলোর শীর্ষ ফোরাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছিলেন, পরিবহন শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি ‘আইনগতভাবে’ সমাধানের জন্য অগ্রসর হবেন তারা। এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে ‘সহযোগিতার আশ্বাসও’ তারা পেয়েছেন।

এরপর গত বছরের ২৭ মার্চ নতুন সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদন পায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সেদিন বলেছিলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির কথাই বলা হয়েছে খসড়া আইনে।

“বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে কাউকে নিহত বা আহত করলেও দণ্ডবিধি অনুযায়ী সাজা হবে। দুই গাড়ি পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটালে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। দুর্ঘটনায় না পড়লেও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য আইনে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।“

নীতিগত অনুমোদনের পর ওই খসড়া যাচাই ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকে প্রায় দেড় বছর। এর মধ্যে গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাজধানী থেকে তাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

এই আন্দোলন থেকে নয়টি দাবি উঠে আসে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে, ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর মধ্যে প্রথম দাবিটি হচ্ছে- বেপরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।

তাদের এই আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের বিষয়টি গতি পায়। গত ১ অগাস্ট ‘ভেটিং’ শেষে খসড়াটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।

সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও এসেছে ইন্টারনেটে

ভেটিংয়ের আগে খসড়ায় যা ছিল

>> আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো শর্ত ছিল না। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।

>> চালকের সহকারীরও পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে। সহকারী হতে হলেও বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স নিতে হবে। আগের অধ্যাদেশে সহকারীদের লাইসেন্সের কথা থাকলেও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত ছিল না।

>> গাড়ি চালনার জন্য চালকের বয়স আগের মতই কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।

>> নতুন আইনের খসড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেওয়া হবে। আগের আইনে এই ধরনের অপরাধের জন্য তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

>> চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখার কথা বলা হয়েছে নতুন আইনের খসড়ায়।

>> নতুন আইন পাস হলে কেউ গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।এ আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।

>> ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে- এমন অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় চালকদের গ্রেপ্তার করতে পারবে।

নিরাপদ সড়কের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে শাহবাগ মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

মন্ত্রিপরিষদ সচিব গতবছর জানিয়েছিলেন, চালকরা যাতে আইন মেনে চলে, সেজন্য প্রস্তাবিত আইনে পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হয়েছে নীতিগত অনুমোদন পাওয়া খসড়ায়।

তিনি সেদিন বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চালকদের পয়েন্ট কর্তনের পদ্ধতি রয়েছে। অর্থাৎ, চালক যদি একবার দোষ করেন তাহলে এক বা দুই পয়েন্ট কাটা হবে। এভাবে পয়েন্টশূন্য হয়ে গেলে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়।

“আমাদের দেশেও সে প্রস্তাবটি রাখা হয়েছে। ড্রাইভিং সংক্রান্ত বিধিবিধান যদি কেউ অমান্য করে তাহলে তার পয়েন্ট কর্তন হতে থাকবে। মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। কোন অফেন্সে কত পয়েন্ট কাটা যাবে সেটা তফসিলে বলা আছে। পয়েন্ট শূন্য হয়ে গেলে আর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকবে না,” বলেছিলেন শফিউল আলম।        

অপরাধের জন্য চালকদের পয়েন্ট কাটা যাওয়ার উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মোটরযানের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ না করলে এক পয়েন্ট কাটা যাবে।

পয়েন্ট কাটা শেষে কারও লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেলে সে নতুন করে লাইসেন্স পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, “তাকে ডিসকোয়ালিফাই করবে।”

ড্রাইভিং সনদ পেতে চালক ও তার সহকারীদের শিক্ষাগত সনদের বাধ্যবাধকতার বিষয় শফিউল আলম সে সময় বলেন, “(চালককে) অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে এই শর্ত যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগে লেখাপড়ার এই সিলিংটা ছিল না। চালকের সহকারীকে কমপক্ষে লিখবার ও পড়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তার লেখাপড়া থাকতে হবে।”

অপরাধ ও দণ্ড আইন থেকে বের করে খসড়ায় তফসিল আকারে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার দণ্ডে দণ্ডনীয় যে অপরাধগুলো সেগুলোতে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবে।

“পেশাদার ও অপেশাদার চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে। যদি কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায় অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। এ ধরণের অপরাধের জন্য বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা যাবে।”

আগের অধ্যাদেশে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহারের জন্য ২ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও খসড়া জেল ২ বছর রেখে জরিমানা ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়।

ঢাকার উত্তরায় শুক্রবার মানববন্ধনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

ফিটনেস চলে যাওয়ার পরেও মোটরযানের ব্যবহার করলে আগের আইনে ছয় মাস জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। নতুন আইনে খসড়ায় শাস্তি বাড়িয়ে মোটরযানের মালিকের এক বছরের জেল বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়।

এক্সেল বা ওজনসীমা অতিক্রম (৫ টন ধারণক্ষমতার ট্রাক এর থেকে বেশি ওজন পরিবহন করলে) করলে গাড়ির মালিক ও চালককে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয় ওই খসড়ায়।

মোটরযান চলাচলে সাধারণ নির্দেশাবলী নামে একটি নতুন ধারায় ওই খসড়ায় ২৫টি নির্দেশনা যুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়, গাড়ি চালানোর সময় চালক মোবাইল ফোন বা অনুরূপ সরঞ্জম ব্যবহার করতে পারবে না। মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হবে।

সিট বেল্ট না বেধে গাড়ি চালালে; মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং বয়জ্যেষ্ঠ যাত্রীর জন্য সংরক্ষিত আসনে বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয় নীতিগত অনুমোদন পাওয়া খসড়ায়।

মদ পান করে বা নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে গাড়ি চালালে, সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালালে, উল্টো দিকে গাড়ি চালালে, নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য স্থানে গাড়ি থামিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, চালক ছাড়া মোটরসাইকেল এক জনের বেশি সহযাত্রী ওঠালে, মোটর সাইকেলের চালক ও সহযাত্রীর হেলমেট না থাকলে, ছাদে যাত্রী বা পণ্য বহন করলে, সড়ক বা ফুটপাতে গাড়ি সারানোর নামে যানবাহন রেখে পথচারীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে, ফুটপাতের ওপর দিয়ে কোনো মোটরযান চলাচল করলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড প্রস্তাব করা হয় প্রস্তাবিত আইনে।

সোমবার মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে আইনটি পাস করতে বিল আকারে সংসদে তোলা হবে। দ্য মোটর ভেহিকেল অর্ডিনেন্স ১৯৮৩ মার্শাল ল’ আমালে প্রণীত হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই আইনকে হালনাগাদ করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।