রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এ হেফাজতের আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে এই অভিনেত্রীকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের হেফাজত চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বিকাশ কুমার পাল।
এ সময় এই অভিনেত্রীর পক্ষে আইনজীবী এ এইচ এম ইমরুল কাওসার রিমান্ড আবেদন বাতিল জামিনের আবেদন করেন।
শনিবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধার পর জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়লে অভিনেত্রী নওশাবা বিকাল চারটার দিকে ফেইসবুক লাইভে জিগাতলায় হামলায় দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার খবর জানান।
শনিবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নওশাবাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব; নেওয়া হয় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নওশাবা জানান, ফেইসবুক লাইভের সময় তিনি ঘটনাস্থলে নয়, উত্তরায় একটা শুটিং স্পটে ছিলেন। কিন্তু এমনভাবে লাইভ করছিলেন যেন তার সামনেই ঘটনা ঘটছে।
অন্য একজনের অনুরোধে নওশাবা একাজ করেছেন বলে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছিলেন।
আদালতে শুনানিতে নওশাবার আইনজীবী এ এইচ এম ইমরুল কাওসার বলেন, “ওই ঘটনায় নওশাবা ভুল স্বীকার করে ফেইসবুকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কোন উসকানির উদ্দেশ্য তার ছিল না।”
এর বিরোধিতা করে আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা এসআই শওকত হোসেন বলেন, “ওই ঘটনায় আর করা জড়িত, কার নির্দেশে সে এই পোস্ট দিয়েছিল তা জানা এবং তার মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।”