বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার জিএম শাকিল মেরাজ বলেন, "২৭ জুলাই থেকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত অব্যাহত যাত্রী সংকটে এটি হয়েছে।”
পরে আরও ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলে আশংকা করছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এ বছর ১৪ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট শুরু হলেও গত মাসের প্রথম সপ্তাহ শেষেও অবিক্রিত ১২ হাজার টিকেট রয়ে যায়।
শাকিল মেরাজ বলেন, "বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও হজ এজেন্সিগুলো যথাসময়ে টিকেট ক্রয় না করায় একের পর এক ফ্লাইট বাতিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।"
এদিকে যাত্রী স্বল্পতা ও ফ্লাইট বাতিলের কারণে এ পর্যন্ত বিমান চার হাজার সিটের আয় হারিয়েছে।
প্রতিদিনই ৫২৮টি হজ এজেন্সিকে ই-মেইলের মাধ্যমে কোন ফ্লাইটে কত সিট খালি আছে সে বিষয়ে আপডেট দেওয়া ছাড়াও দ্রুত টিকেট ক্রয়ে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এ বছর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়িভাড়া ও ভিসার আগেই টিকেট কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক এজেন্সি এখনও তাদের নির্ধারিত টিকেট কেনেনি।
হজ শুরুর ৫০ দিন পূর্বেই বিমানের হজ টিকেট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হলেও এজেন্সিগুলো সময় মতো টিকেট সংগ্রহ না করায় এখনও ৫ হাজার সাতশ টিকেট অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এ বছর সৌদি কর্তৃপক্ষ বিমানের জন্য নির্ধারিত স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোনও স্লট বরাদ্দ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফ্লাইট বাতিলের ধারা অব্যাহত থাকলে সব হজ যাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছানোর বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।”
এদিকে আগামী ৩ অগাস্ট থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত জেদ্দা ও মদিনাসহ আরো ছয়টি ফ্লাইট যাত্রীর অভাবের কারণে বাতিলের সম্ভাবনা আছে; এর প্রেক্ষিতে আরও আনুমানিক দুই হাজার চারশ ক্যাপাসিটি হারাতে হবে বলে জানিয়েছে বিমান।
পরিস্থিতি উত্তরণে এবং সব সম্মানিত হজ্জযাত্রীর হজযাত্রা নিশ্চিত করতে ৩ অগাস্ট হতে ৭ অগাস্ট সময়কালের হজ ফ্লাইটসমূহের অনুকুলে হজ এজেন্সিগুলোকে অনতিবিলম্বে অতি দ্রুততার সঙ্গে টিকেট সংগ্রহের জন্য বিমানের পক্ষ থেকে জরুরি তাগিদও বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে।