ঢাকা বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত স্কুলছাত্র দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিমের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ওই দুটিসহ ৪টি নির্দেশনা দেন।
তাদের সাক্ষাতের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সব স্কুলের সামনে স্পিড ব্রেকার স্থাপন, সব স্কুলের সামনে প্ল্যাকার্ডধারী বিশেষ ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন, শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কে আন্ডারপাস নির্মাণ এবং ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য পাঁচটি বাস প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রেস সচিব বলেন, “রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল নূর নাহার ইয়াসমিন প্রধানমন্ত্রীকে জানান, নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা তার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসেন। তাদের যাতায়াতের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাস দেওয়ার অনুরোধ করেন।”
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন ঢাকার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দিয়া ও করিম।
ওই দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। গত দুই দিনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে অনান্য জেলাতেও।
এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার রাতে ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে’ বৃহস্পতিবার দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনার কথা জানান।
এর পরও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরো রাজধানীর রাজপথ দখল করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। পুলিশের ভূমিকায় নেমে গাড়ি থামিয়ে তারা লাইসেন্স পরীক্ষা করছে।
নিহত দুইজনের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রত্যেক পরিবারকে অনুদান হিসেবে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেন সরকারপ্রধান।
দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির, ভাই-বোন, মা এবং আবদুল করিমের মা মহিমা বেগম, বোন ও পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রিন্সিপাল নূর নাহার ইয়াসমিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।