অপপ্রচারে কান না দিতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ পুলিশের

কোন ধরনের গুজবে বা অপপ্রচারে কান না দিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2018, 09:39 AM
Updated : 2 August 2018, 10:51 AM

টানা বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ আহ্বান জানান।

ঢাকার দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে বৃহস্পতিবারও রাজধানীর অন্তত ২০টি পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। ফলে গত তিন দিনের মতই ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।     

সরকার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও বৃষ্টির মধ্যে স্কুল কলেজের ইউনিফর্ম পরেই রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। তারা সব ধরনের পরিবহনের লাইসেন্স যাচাই করে দেখছে; এম্বুলেন্স, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িও ছাড় পাচ্ছে না।

২০১৩ সালে ঢাকার রামপুরায় এএসআই পলাশ চন্দ্র এক শিশুর গলা টিপে ধরে।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে এক নারী বিক্ষোভকারীর প্রতি মারমুখী পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তিযুক্ত। এই শিশুদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার আছে। ট্রাফিক বিভাগ থেকে যেসব তাৎক্ষণিক সমাধান করা যায় তা পুলিশ করছে। বাকি সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের বিরুদ্ধে পুলিশি অ্যাকশনের পুরনো কিছু ছবি পোস্ট করে বর্তমানের ছবি হিসেবে দেখিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

পুরনো সেসব ছবির একটি দেখিয়ে মনিরুল বলেন, “২০১৩ সালে রামপুরায় এএসআই পলাশ চন্দ্র এক শিশুর গলা টিপে ধরেছিল। সেজন্য সেই পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছিল।”

রাজপথে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “সব সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে; বাসায় ফিরে যাও।”

কোন ধরনের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অভিভাবক, শিক্ষকদের কাছে সহযোগিতা চান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, “যারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কেউ শিক্ষার্থী নয়; তাদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে।

“শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগে একটি চক্র প্রায় তিনশত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে আর পোড়ানো হয়েছে আটটি গাড়ি।”