বরিশালে বিএনপির সরওয়ারের ভোট বর্জন

ব্যাপক ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোশনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2018, 06:26 AM
Updated : 30 July 2018, 09:48 AM

সোমবার সকাল ৮টায় এ সিটির ১২৩টি কেন্দ্রে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মাথায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ঘোষণা দেন। 

ধানের শীষের প্রার্থী অভিযোগ করেন, ৭০-৮০টি কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাকি যেসব কেন্দ্রে এজেন্টরা ঢুকতে পেরেছেন, তারাও ‘নৌকা মার্কায় সিল মারতে দেখেছেন।’

“আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি যেন এই নির্বাচন স্থগিত করে। কিন্তু তারা আমাদের কথায় গুরুত্ব দেয়নি।

“তাই নির্বাচন কমিশনের প্রতি নিন্দা। এই নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করলাম।” 

তিনি বলেন, “মানুষের মধ্যে হতাশা, কান্নার রোল পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মারামারি, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আমি আমার জীবনের চারটি এমপি ও একটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখিনি।

“ন্যক্কারজনকভাবে যদি একটি দলকে পক্ষপাত করে আর বিরোধী দলদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দিয়ে নির্বাচন কমিশন কীভাবে নির্বাচন করে? হাত-পা বেঁধে তো সাঁতার দেওয়া যায় না।”

জাতীয় নির্বাচনের বছর বলে সরকার মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেকা বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা নিয়ে এ মতামত কেবল তার একার নয়, অন্য প্রার্থীরাও কথা বলছেন।

“এটা যে ভোট হচ্ছে না- তা সবাই বুঝতে পেরেছে। ভোট শুরুই হয়নি। ভোট কীভাবে হবে? ৭০/৮০টি কেন্দ্রে ভোট শুরুই হয়নি। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ভোট কেমন হচ্ছে- আমি কীভাবে তা বলব?”

সরওয়ার সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি ব্যালট দেখান, যেগুলোতে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ছিল।

এগুলো কোথায় পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের ভোটারদের ব্যালট আওয়ামী লীগ কর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে। ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে পালিয়ে যাবার সময় আমাদের ছেলেরা এগুলো কুড়িয়ে নিয়ে এসেছে।”

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরোয়ার মজিদুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে সেখানে হট্টগোল হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন।

ভোটার নম্বর না থাকায় কয়েকটি বুথ ঘুরে শেষ পর্যন্ত ৬ নম্বর বুথে নিজের ভোট দেন সরওয়ার।

দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “বাইরের লোক, পুলিশ, প্রশাসন দিয়ে যে ঘটনা বরিশালের মানুষের সাথে ঘটানো হল, বরিশালবাসী সেজন্য একদিন আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাড় করাবে।”