অতি উৎসাহীদের সতর্ক করলেন ‘আশাবাদী’ লিটন

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭০-৭৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করতে ‘অতিউৎসাহীদের’ সতর্ক করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2018, 05:28 AM
Updated : 30 July 2018, 08:19 AM

সোমবার সকাল সোয়া ৮টায় রাজশাহীর স্যাটালাইট টাউন হাই স্কুল কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থী লিটন সাংবাদিকদের বলেন, “পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভোট দিতে এসেছি, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে, আশা করি সারাদিন এমন পরিবেশ বিরাজ করবে।”

জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী- এমন প্রশ্নে লিটন বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগের কাছাকাছি আশাবাদী...৭০-৭৫ হাজার বা এর বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করব।”

নির্বাচনের ‘উৎসবমুখর’পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয়- সে বিষয়ে সতর্ক করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে নজর রাখতে বলব। সেই সাথে অতি উৎসাহীদের কেউ যেন কিছু না করে তাই কামনা করি।”   

সকাল সোয়া ৮টায় স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনি ও মেয়ে অনিকা ফারিহা জামান অর্ণাকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসেন লিটন। স্যাটালাইট টাউন হাই স্কুলের মহিলা ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন তার স্ত্রী ও কন্যা।

লিটন কাজীরগঞ্জ এলাকায় তার বাবা জাতীয় চারনেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত শেষে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, লিটন বলেন, “নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই, যে কোন ফলাফল মেনে নেওয়ার মানসিকতা আমার আছে...জনগণের রায়ে ফলাফল যাই আসুক না কেনো আমি তা মেনে নেব।”

ভোটের পরিবেশ নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন বলেন, “সবে মাত্র ভোট শুরু হয়েছে, এখনই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথা বলা গণতান্ত্রিক আচরণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না।”

রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র লিটনের সঙ্গে এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন গত মেয়াদের মেয়র বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। একই কেন্দ্রে তার ভোট দেওয়ার কথা থানলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি আসেননি। 

২০১৩ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে একই সময়ে রাজশাহীর স্যাটালাইট টাউন হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের দুই নেতা। সে সময় ‘লিটন-বুলবুলের কোলাকুলি’ নিয়ে গণমাধ্যমে শিরোনামও হয়েছিল।

লিটন ও বুলবুলসহ সব মিলিয়ে পাঁচজন প্রার্থী এ সিটিতে মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে আছেন। এছাড়া এ নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডে ৩০ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন এই সিটির ৩ লাখ ১৮ হাজার ভোটার।