দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উৎপাদন শুরু না হওয়া পর্যন্ত কিছু এলাকায় লোডশেডিং হলেও তা সাময়িক বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী।
Published : 25 Jul 2018, 12:42 AM
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে তৃতীয় কার্য অধিবেশনে জেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের এই আশ্বাসবাণী দেন তিনি।
দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া খনির কয়লা ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার পর গত রোববার থেকে বন্ধ রয়েছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন। এতে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে।
কয়লা উধাও হওয়ার পেছনে দুর্নীতি রয়েছে বলে ইতোমধ্যে অভিযোগ এসেছে। দুদক তদন্তও শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, “উনারা যখন এসেছেন, তখন তো সমস্যাটা অত প্রকট হয়নি। ওখানে সাময়িক কিছু জায়গায় লোডশেডিং হবে, কয়লা উৎপাদন শুরু না হওয়া পর্যন্ত।
“যেসব জায়গায় ইন্ট্রাপশন হবে, ওরা জানিয়ে দেবে যে আপনার ওখানে কত সময় বিদ্যুত পাবে না। আমাদের বিদ্যুৎ পুরো আছে, বিদ্যুৎের একটি বিষয় রিঅ্যাকটিভ পাওয়ার, বিভিন্ন জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্ট না থাকে রিঅ্যাকটিভ পাওয়ার যদি শর্টেজ হয় তাহলে বিদ্যুৎ সাপ্লাই করা যায় না।”
কবে নাগাদ কয়লা উৎপাদনে হবে- এপ্রশ্নে তৌফিক ইলাহী বলেন, “ইনশাআল্লাহ এক মাসের মধ্যে।”
খনির কোল ইয়ার্ড থেকে কয়লা ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কয়লা গায়েবের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করব না। তদন্ত করে দেখা হবে কীভাবে জিনিসটা হল, এর দায়-দায়িত্ব কার। তদন্ত হয়ে গেলে আপনারা জানতে পারবেন।”
কোনো ধরনের গাফিলতি প্রধানমন্ত্রী ‘কোনোমতেই সহ্য করবেন না’ বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।
আগামী বছরের মধ্যে দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তৌফিক ইলাহী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।